পৌর নির্বাচন: সাড়া নেই বিদ্রোহীদের

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বাগে আনতে হিমশিম খাচ্ছে। কেন্দ্রের নির্দেশনা উপেক্ষা করে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন এসব বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থীরা। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটামের ৪৮ ঘণ্টা পার হলেও সাড়া মেলেনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের। অবশ্য বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। এর মধ্যে কেউ প্রত্যাহার না করলে বিদ্রোহীদের ওপর বহিষ্কারের খগড় নেমে আসতে পারে।

জানা যায়, দুই দলেই কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্তদের পাশাপাশি বিভাগীয় নেতারাও বিদ্রোহীদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলছেন। তবে দল থেকে বহিষ্কারের খগড় নিয়েও নির্বাচনে থাকতে চান বিদ্রোহীদের বড় একটি অংশ। তাই অনেকেই ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগে অর্ধ শতাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে বড় একটি অংশকেই বুঝিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বলছেন, বিদ্রোহীর সংখ্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে। আশা করা হচ্ছে, এরই মধ্যে সব বিদ্রোহী প্রার্থীই দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধে নৌকা প্রতীকের পক্ষে লড়বেন।
বিএনপি সূত্র জানায়, দলের ৪১ জন বিদ্রোহী প্রার্থীর মনোয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তাদের বুঝিয়ে বসাতে ঘাম ঝরাতে হচ্ছে কেন্দ্রকে। তবে কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা সম্ভব না হলেও সংখ্যা দশের বেশি হবে না।

সাড়া নেই বিদ্রোহীদের : পৌরসভা নির্বাচনে একক প্রার্থী করতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের দৌড়ঝাঁপ শেষ পর্যন্ত নিষ্ফলই হতে চলেছে। কঠোর আলটিমেটাম দেওয়ার পরও প্রায় ৬৫টি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ এখন আওয়ামী লীগই। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম ৪৮ ঘণ্টা পার করেছে। তারপরও সাড়া মেলেনি বিদ্রোহীদের। দলীয় প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জ করেই প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা। ফলে পৌরসভা নির্বাচনে অনেকটাই বিপাকে পড়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।
দলীয় প্রার্থীকে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর পাশাপাশি লড়তে হচ্ছে নিজ দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর সঙ্গে। গত বুধবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যারা এ নিদের্শনা অমান্য করবেন তাদের আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। ওই রাতেই দলের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হয় বিদ্রোহী প্রার্থীদের ঠিকানায়। এ ছাড়াও বিদ্রোহী প্রার্থীদের যারা মদদ দিচ্ছেন সেসব এমপি ও নেতাদের তালিকাও প্রস্তুত করছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। ওই ঘোষণার পর অনেকে বহিষ্কারের ভয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেও একাংশ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, অনেক বিদ্রোহী প্রার্থীই তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। যদি কেউ না নেন, তাহলে তার ও তাকে যিনি মদদ দিচ্ছেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জানা গেছে, সিলেটের কানাইঘাট ও গোলাপগঞ্জ পৌরসভায় দুজন করে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। কানাইঘাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান মেয়র লুত্ফুর রহমানকে চ্যালেঞ্জ করে মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন আল মিজান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম।
গোলাপগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান মেয়র জাকারিয়া আহমদ পাপলু। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল জব্বার চৌধুরী ও যুক্তরাজ্য যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রাবেল।
কুষ্টিয়ার খোকসায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী যুবলীগের আহ্বায়ক মাসুম মোরশেদ শান্ত। তিনি বলেন, পৌরসভা নির্বাচনে যাকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়েছে, তিনি পৌরসভার বাসিন্দা নন। দুই মাস আগে কৌশলে পৌরসভার ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটার হয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করে যিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানের হেরে যান এবং একজন ইউনিয়নের বাসিন্দার হাতে পৌরসভার ক্ষমতা ছেড়ে দিতে পারি না। যত বাধাই আসুক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবই।
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুন্নবী অপু নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন। তিনি বলেন, আমি নিজেকে বিদ্রোহী প্রার্থী মনে করি না। আমি একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভার বিদ্রোহী প্রার্থী ইলিয়াস হোসেন বাবলু জানান, দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও তিনি নিজেকে প্রত্যাহার করবেন না।
এ ছাড়া আলটিমেটাম সত্ত্বেও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভার ইমানি আলি, শেরপুরের নলিতাবাড়ির আবদুল হালিম উকিল নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল আছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের বড় ছেলে মো. ফয়সাল বিপ্লব। এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনের সভাপতি রেজাউল ইসলাম সংগ্রাম এবং মুন্সীগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আরিফুর রহমান।
যশোর সদর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী দুইবার নির্বাচিত মেয়র এম এম কামরুজ্জামান চুন্নু। বাঘারপাড় পৌরসভার বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক মেয়র খালিলুর রহমান, চৌগাছা পৌরসভায় এস এম সাইদুর রহমান, নওয়াপাড়ায় ফারুক হোসেন ও সাবেক মেয়র ওলিয়ার রহমান, মনিরামপুরে জি এম মজিদ।
পাবনার ফরিদুপরে আসাদুজ্জামান আলাল, সুজানগরে বর্তমান মেয়র তোফাজ্জল হোসেন তোফা, চুয়াডাঙ্গায় পৌরসভায় ওবায়দুর রহমান দিপু, কুড়িগ্রাম সদরে সাইদুর রহমান দুলাল ও কাজীউল ইসলাম।
নড়াইলের কালিয়া পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন পৌরসভার বর্তমান মেয়র বি এম ইমদাদুল হক টুলু, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী সোহেলী পারভীন, আওয়ামী লীগ নেতা ফকির মুশফিকুর রহমান লিটন ও শেখ লায়েক হোসেন।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ইতিমধ্যে সারা দেশে বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে। রবিবার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়ের মধ্যে যেসব বিদ্রোহী প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করবেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের কাছে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের নোটিস পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ১৩ তারিখের পর বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক থাকবে না।

চট্টগ্রামেও বিদ্রোহীরা : মুন্সিরঘাটাস্থ রাউজানের আওয়ামী লীগ নেতা দলের বিদ্রোহী প্রার্থী সাইফুল আলম চৌধুরী রানার সমর্থনে স্থানীয় নেতারা এক মতবিনিময় সভা করেন। রাঙ্গুনীয়া পৌরসভার বিদ্রোহী প্রার্থী কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, নির্বাচন করার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। এখন আর পেছনে যাওয়ার সুযোগ নেই। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনই করব।
জানা যায়, দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের ৭ বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনের মাঠে এখনো অটল আছেন। দলের ৯ বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে ২ জন দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগ নেতা ও সীতাকুণ্ড পৌরসভার বর্তমান মেয়র নায়েক শফিউল আলম ও পৌরসভার ৮নং ইদিলপুল ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি সিরাজ উদদৌলা।

ঘাম ঝরছে বিএনপিতেও : দলের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করাতে গিয়ে ঘাম ঝড়ছে বিএনপির। দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন। বিভাগীয় নেতারাও তাদের নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করছেন। দলের শৃঙ্খলা মেনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলে যোগ্যতা অনুসারে সাংগঠনিক পদ দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হচ্ছে। তবে রবিবারের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে পদে থাকা বিদ্রোহী প্রার্থীদের ওপর বহিষ্কারের খগড়ও নেমে আসতে পারে।
জানা যায়, বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা ৪১ জন। এর মধ্যে অন্তত ২০ জন রবিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারেন। বাকিরা নির্বাচনে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে তারা নির্বাচনে থাকার নানা যুুক্তিও তুলে ধরছেন।
গত দুদিন ধরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে কথা বলছেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, পৌর নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান, সহ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সসহ বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। কেন্দ্র থেকে পাঠানো বার্তায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানানো হয়। নিজের কিছু বলার থাকলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর ঢাকায় এসে বিএনপির হাইকমান্ডের কাছে কথা বলার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

পৌর নির্বাচনে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান বলেন, যাদের বিদ্রোহী প্রার্থী বলা হচ্ছে, ‘তারাও দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন। এ দলের পেছনে তাদেরও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলছি। তারাও নির্বাচনে থাকার নানা যুক্তি তুলে ধরছেন। আশা করছি, দলের সার্বিক দিক বিবেচনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের ডাকে সাড়া দিয়ে ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেবেন।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সারা দেশে বিএনপির ৪১ বিদ্রোহী প্রার্থী এখনো নির্বাচনী মাঠে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এরমধ্যে রয়েছেন মৌলভীবাজারের বড়লেখায় এরাজ আলী, কুমিল্লার দাউদকান্দিতে নূরুল আমিন সরকার, বরগুনার পাথরঘাটায় অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান, বগুড়ার বেতাগিতে মিলন মল্লিক, শিবগঞ্জে তাইফুল ইসলাম, নন্দিগ্রামে কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল ও পৌর বিএনপির সহসভাপতি ফজলুল হক কাশেম, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় নূরুল আমিন, পটিয়ায় ইব্রাহিম সওদাগর, রাঙামাটি সদরে রবিউল হক রবি, মেহেরপুরের গাংনিতে আসাদুজ্জামান বাবলু, কুষ্টিয়া সদরে বশিরুল আলম চাঁদ, ভেড়ামারায় শামিম রেজা, নড়াইলের কালিয়ায় ইকরামুল হক, সাতক্ষীরা সদরে নাসির ফারক খান মিঠু, জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে আলমগীর চৌধুরী বাদশাহ, কালাইয়ে আনিসুর রহমান তালুকদার, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে শামসুল হাবিব বাবুল, ফুলবাড়িয়ায় চাঁন মাহমুদ, ভালুকায় মফিজউদ্দিন সরকার, কিশোরগঞ্জ সদরে ইসরাইল মিয়া, হোসেনপুরে রতন মৃধা, নরসিংদীর মনোহরদীতে ডা. আবদুল খালেক, নারায়ণগঞ্জের তারাবতে সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, টাঙ্গাইল সদরে জাকির আহমেদ, সফিপুরে মনোয়ার হোসেন, রাজশাহীর নওহাটায় রফিকুল ইসলাম, কাটাখালীতে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, গোদাগাড়ীতে গোলাম কিবরিয়া লুলু, মুণ্ডুমালায় মোজাম্মেল হক, তানোরে ফিরোজ সরকার, আড়ানীতে নজরুল ইসলাম, তাহেরপুরে আরিফ উদ্দিন, চারঘাটে কায়েস উদ্দিন, নাটোরের গোপালপুরে মঞ্জুরুল ইসলাম, দিনাজপুরের বিরামপুরে হুমায়ুন কবীর, পাবনার চাটমোহরে আবদুল মান্নান, সুজানগরে কামাল বিশ্বাস, শেরপুরের শ্রীবর্দীতে আবু রায়হান, মেহেরপুরের গাংনীতে আসাদুজ্জামান বাবলু, হবিগঞ্জ সদরে আমিনুর রহমান এমরান ইসলাম তরফদার তনু এবং শায়েস্তাগঞ্জে আবদুল মজিদ।

বগুড়ার নন্দীগ্রাম চষে বেড়াচ্ছেন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল। তিনি বলেন, বিএনপি যাকে এখানে মনোনয়ন দিয়েছে, তার বংশধরের কেউ বিএনপিতে নেই। আমরা শুরু থেকেই বিএনপি করে আসছি। অথচ আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কেন্দ্র থেকে আমাকে সরে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নির্বাচনে লড়ে যাব। কারণ বিএনপির কোনো পদ আমার নেই।

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় সাবেক পৌর মেয়র বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী নূরুল আমিন। নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত লড়তে চান তিনি। আগামীকাল থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নামবেন। তিনি জানান, শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে লড়ে যাব। সুষ্ঠু ভোট হলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হব।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। আশা করি, ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে বিএনপিতে কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী থাকবে না। ধানের শীষের একক প্রার্থীর পক্ষেই জাতীয়তাবাদী সব শক্তি কাজ করবে।

সিনিয়র নেতাদের ডেকেছেন খালেদা : পৌর নির্বাচনের কৌশল নির্ধারণে শনিবার রাতে আবারও দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। রাত ৮টায় চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ওই বৈঠক ডাকা হয়েছে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, যুগ্ম মহাসচিব এবং সাংগঠনিক সম্পাদকদের বৈঠকে অংশ নিতে বলা হয়েছে। এতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সভাপতিত্ব করবেন। সূত্র:বাংলাদেশ প্রতিদিন



মন্তব্য চালু নেই