পৌর ভোটে প্রাণ পেল গুলশান কার্যালয়

গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে নেতাকর্মীদের কোনো ধরনের আনাগোনা ছিল না বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে। একরকম প্রাণহীন হয়ে ছিল সেখানকার পরিবেশ। তবে পৌর নির্বাচন ঘিরে হঠাৎই সরগরম হয়ে উঠেছে ওই কার‌্যালয় ও এর সামনের সড়ক। অনেক দিন পর সেই চিরচেনা রাজনৈতিক আবহ ফিরে পেল কার্যালয়টি।

৫ জানুয়ারির ‘একতরফা’ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে গত ৩ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে ২০-দলীয় জোটের টানা অবরোধ আর হরতালে প্রায় তিন মাস এই কার্যালয়ে অবস্থান করেন খালেদা জিয়া। এ সময় কার্যালয় ঘিরে রেখেছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তখন সেখানে যেতে পারেননি কোনো নেতাকর্মী। এমনকি সেখানে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন কেউ কেউ। সেই থেকে নেতাকর্মীদের আনাগোনা কমতে থাকে গুলশান কার্যালয়ে।

গত ৫ এপ্রিল একটি মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়ে গুলশানের বাসভবনে ফিরে যাওয়ার পর বেশ কিছুদিন রাজনৈতিক কার্যালয়টিতে আসেননি খালেদা জিয়া। পরে সেখানে গেলেও নেতাকর্মীদের আসা-যাওয়া ছিল না তেমন একটা।

এরপর চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া ১৫ সেপ্টেম্বর লন্ডন গেলে আবার নীরবতা নেমে আসে সেখানে।

গত ২১ নভেম্বর দেশে ফেরার দুই দিন পর প্রথম কার‌্যালয়ে আসেন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে প্রায় নিয়মিতই অফিস করছেন তিনি। এ সময় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে নিজেদের উপস্থিতির জানান দিতে দেখা গেছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতাদের।

এরই মধ্যে উত্তাপ ছড়িয়েছে পৌরসভা নির্বাচন।

গত দুই দিনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বহু নেতা তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে গুলশান কার‌্যালয়ে এসেছেন পৌর নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেতে দরবার করতে। ফলে নেতাকর্মীদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে গুলশান কার্যালয়ের চত্বর ও এর আশপাশ।

এদিকে এই কার্যালয়ে চলছে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন বাছাইয়ের কাজ। মনোনয়নপত্র বিতরণও চলছে এখান থেকে। ফলে মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে নেতাকর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে। বিকালের পর সরগরম হয়ে ওঠে সামনের সড়ক ও চত্বর।

জানা গেছে, আজ রাতেই পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে দলের প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করবে বিএনপি। একই সঙ্গে উপস্থিত প্রার্থী ও সংশ্লিষ্ট পৌরসভা এলাকার দায়িত্বশীল নেতার হাতে তুলে দেয়া হবে দলের মনোনয়নপত্র।



মন্তব্য চালু নেই