প্রকৃতির পুনঃরাজত্ব- চীনের ফিশিং ভিলেজ

প্রকৃতি না মানুষ, কে বেশী শক্তিশালী? প্রকৃতির স্বাভাবিক গতিশীলতাকে অনেকবার বাধাগ্রস্থ করেছে মানুষ। নদীপথে বাঁধ দিয়েছে, সড়ক নির্মাণ করেছে বন-পাহাড় কেটে। তাই বলে কি মানুষ অতিক্রম করেছে প্রকৃতিকে? মোটেই না। প্রকৃতি এমন এক শক্তি যাকে অতিক্রম করা এত সহজ নয়। কখনো সে আসে প্রলয় হয়ে, কখনো ভূমিকম্প। কোন না কোনভাবে সে বুঝিয়ে দেয় তাকে হারাতে চাওয়া বোকামী।

ভূমিকম্প, সাইক্লোনের বাইরেও প্রকৃতির আছে প্রতিবাদের ভিন্ন ভাষা। কোথাও সে আপনার কল্পনার চেয়েও বহুগুণ বেশী শৈল্পিক। কোথাও সে পথ খুঁজে নেয় ইটের ফাঁকে ফাঁকে। বিকাশ থেমে থাকে না। শহরের কংক্রীটে হাসে হলুদ ফুল, ডাকে চড়ূই, রঙ মেলে সবুজ।

চীনের একটি গ্রামে চলছে প্রকৃতির এমনই রাজত্ব যে সেখানে আর ঘর দেখা যায় না, দেখা যায় না পথ-ঘাট। মানুষ নিজের মতো প্রকৃতির বুকে গড়েছে আবাস আর প্রকৃতি চুপচাপ নিরবে তার উপর বিছিয়ে দিয়েছে সবুজ চাদর।

চীনের ইয়াংতযে নদীর অববাহিকায় ৪০০ দ্বীপের সমষ্টিগত নাম শেংসি। এই দ্বীপমালার মাঝে সম্প্রতি খুঁজে পাওয়া গেছে একটি গ্রাম। গোটা একটি গ্রাম রূপান্তরিত হয়েছে প্রকৃতিরই একটি অংশে। পুরোনো দেয়াল বেয়ে উঠে গেছে আঙ্গুর লতা, ঢেকে দিয়েছে জানালা, দরজা, পথ সবই। এ যেন মানুষের সাথে নিরব লড়াই, আবারো ক্ষমতায়ণ নিজের অংশে।

জায়গাটি ছিল মাছ ধরার জন্য খ্যাত। গ্রামের মানুষের মূল পেশা ছিল মাছ ধরা। লোকে লোকারণ্য গ্রামটি এখন আর খুজেই পাওয়া যায় না। ফটোগ্রাফার কিং জিয়ানের ক্যামেরায় উঠে এসেছে প্রকৃতির এই রাজত্বের খবর।

চীন ভ্রমণে ট্যুরিস্ট জনপ্রিয় এলাকাগুলোতে তো অবশ্যই যাবেন। তবে এর সাথে ঘুরে দেখুন এমন জায়গা যে বিস্মিত করবে আপনাকে এবং এই বিস্ময়ের সাথে দেখা আপনার বিভিন্ন দেশে হবে বিভিন্ন রূপে। তাই কোনটার স্বাদই একরকম নয়। রোমাঞ্চ ভিন্ন, ভিন্ন অভিজ্ঞতা।



মন্তব্য চালু নেই