প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে জাবিতে আন্দোলন অব্যাহত

শাহাদত হোসাইন স্বাধীন, জাবি প্রতিনিধি: শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় নিরাপত্তাদানে ব্যর্থতা ও মদদের অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে গতকাল ও প্রগতিশীল ছাত্রজোট, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্য পরিষদ এবং জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট ব্যানারে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে।

গত ২৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রান্তিক গেটের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে তনু হত্যার বিচারের দাবিতে অর্ধ দিবস হরতাল পালনকালে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ। এতে তিনজন গুরুতরসহ ২০ জন আহত হন এবং গ্রেফতার হন ১২ জন।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহার বিরুদ্ধে মদদ দান ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে সেদিন থেকেই তার অপসারণের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে প্রগতিশীল ছাত্রজোট, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্য ও জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের নেতাকর্মীরা।

আটক সহযোদ্ধাদের মুক্তির দাবিতে ২৪ এপ্রিল তৎক্ষণাৎ প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে আন্দোলনকারীরা। আটক নেতাকর্মীর মুক্তি মিললেও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে ২৫ এপ্রিল প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে প্রগতিশীল ছাত্রনেতারা।

একই দাবিতে ২৭ এপ্রিল ভিসি বরাবর স্মারক লিপি পেশ করা হয় ও সর্বাত্মক ধর্মঘটের ডাক দেন বাম ছাত্রসংগঠনগুলো। ২৮ এপ্রিল প্রশাসনিক ভবনের সামনে কালো ব্যাজ ধারণ করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

২৯ এপ্রিল আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে ছাত্র নির্যাতনের ছবি প্রদর্শনী করা হয়। একই দাবীতে ৩০ এপ্রিল ক্যাম্পাস জুড়ে মৌন মিছিল করে প্রগতিশীল ছাত্রজোট,সাম্রাজ্যবিরোধী ছাত্রঐক্য ও জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট।

৩ মে আবার বিক্ষোভ ও আন্দোলনের সমর্থনে গণসংযোগ পালন করা হয়।
আগামী ৭ এপ্রিল তনুসহ সকল গুম হত্যা ও দায়িত্বে অবহেলায় প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে সংহতি সমাবেশের ডাক দিয়েছে আন্দোলন কারীরা।

চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জুবায়ের টিপু বলেন, উপাচার্য আজকের (৩ মে) মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠনের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। এতে প্রমাণিত হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও নির্লজ্জভাবে প্রক্টরের পক্ষ অবলম্বন করেছে।শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি দীপাঞ্জন সিদ্ধান্ত কাজল বলেন, এই প্রক্টর বারবার বিতর্কের জন্ম দিলেও প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলছি, অবিলম্বে এই প্রক্টরকে অপসারণ করুন। পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলতেই থাকবে। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, আন্দোলন বন্ধের জন্য প্রশাসনের কয়েকটি মহল থেকে ছাত্রদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।

প্রক্টর তপন কুমার সাহা পদত্যাগ দাবি নাকচ করে দিয়ে তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।



মন্তব্য চালু নেই