‘প্রজন্মের বিশেষ ফুটবলার রোনালদো’

ম্যানইউর হয়ে তারকা খ্যাতির অঙ্গনে প্রবেশ। ছয় বছরে পূর্ণ তারকা হয়েই রিয়ালে গমন। তাও রেকর্ড ট্রান্সফারের বিনিময়ে। সেখানে নিজের তারকাদ্যুতি আরও ছড়িয়েছেন। ছড়িয়ে যাচ্ছেন। ক্লাব ফুটবলে ম্যানইউ ও রিয়ালের হয়ে ছোট বড় অনেক শিরোপাই জিতেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তবে জাতীয় দলের হয়ে সাফল্যের খেরোখাতা ছিল এতদিন শূন্য। তা পূর্ণ হয়েছে কিছুদিন আগেই। ফ্রান্সকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো কোন বড় ট্রফি, ইউরো জয় করেছে পর্তুগিজ শিবির। অধিনায়ক হিসাবে ফাইনালে খেলেছেন মাত্র ২৫ মিনিট। তবে সাফল্যের কারিগর হিসাবে রোনালদোকেই ফুল মার্কস দিচ্ছেন অনেকে।

রোনালদোর সাবেক গুরু ম্যানইউ বস স্যার আলেক্স ফার্গুসনতো বলেই দিয়েছেন, বর্তমান প্রজন্মের স্পেশাল ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এতে কোন সন্দেহ নাই। ছয় বছর ফার্গুসনের অধীনে ফুটবল খেলেছেন রোনালদো। নিজ শিষ্যকে খুব কাছে থেকেই দেখেছেন ফার্গি। ইউরোর ফাইনালটা গ্যালারীতে বসে দেখেছেন। ট্রফি প্রদানের পর এক ফাঁকে শিষ্যকে জড়িয়ে ধরে বাহবাও দিয়েছেন ফার্গুসন। এবার মুখ খুললেন প্রিয় শিষ্যকে নিয়ে।

রোনালদোকে নিয়ে ৭৪ বছর বয়সী কিংবদন্তী কোচ ফার্গুসন বলেছেন, ‘ফুটবলের প্রতি তার (রোনালদো) আকাঙ্খা অবিশ্বাস্য। সে সব সময় সামনেই তাকাতে পছন্দ করে। তার চেষ্টা থাকে ক্রমোন্নোতির, ও জয়ের। সে বিশেষ করে ভালোবাসি এরকম বড় টুর্নামেন্টকে (ইউরো)।’

বিল্ডকে দেয়া সাক্ষাতকারে ফার্গি আরও বলেন, ‘ম্যানইউতে আমি থাকাকালীন ক্রিশ্চিয়ানো উন্নতি করেছে বহুলাংশে। এবং সেটা কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে। সে একই সময়ে ডান ও বা পায়ের শুটিং টেকনিক অভ্যস্ত করেছে। দুর্দান্ত হেড, বাউন্স, ইত্যাদির জন্য ওর মনোসংযোগ ছিল প্রশংসনীয়।’

রোনালদোর পারফরম্যান্সের দ্রুত উন্নতি প্রসঙ্গে ফার্গুসন বলেন, ‘দেখছিলাম ঐ সময় তার প্রভূত উন্নতি হচ্ছে। যা ছিল অবিশ্বাস্য। স্মরণীয় বিষয় হলো, আজ তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। কী দুর্দান্ত অ্যাথলেটই না সে, কত ফাস্ট’।

তিনি আর বলেন, ‘শীর্ষসারির ফুটবলাররা পাঁচ কি ছয়বছর নিজেদের সেরাটা দিতে পারে। খেলতে পারেন শীর্ষ পর্যায়ে। তবে বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, ক্রিশ্চিয়ানো সেই কাজটি করে আসছে প্রায় দশ বছর ধরে। যা তাকে ব্যতিক্রমী করে তুলেছে। প্রতিটি প্রজন্মেই এমন স্পেশাল ফুটবলার পেয়ে থাকে। বর্তমান প্রজন্ম পেয়েছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে’।



মন্তব্য চালু নেই