প্রতিদিনের যে খাবারে রয়েছে বিষ !

যে খাবার খাওয়া হয় স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে, তাতে বিষ। এমনকি খাবারে যা না হলে স্বাদই আসবে না, সেই লবণও বিষ হতে পারে। আসুন দেখে নেওয়া যাক।

অনেকেই সুষম খাদ্য তালিকায় রাখেন ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। নিউজিল্যান্ডের ৩ জন বিশেষজ্ঞের গবেষণায় বেড়িয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য, ওমেগা থ্রি সবার সুস্বাস্থ্যের পক্ষে উপযোগী নয়। কারও রক্তে এই ফ্যাটি অ্যাসিড বেড়ে গেলে প্রস্টেট ক্যানসারের সম্ভাবনা ৪৩ শতাংশ বেড়ে যায়। অর্থাত্‍ একজনের জন্য যেটা স্বাস্থ্যকর, অন্যের জন্য সেটা নাও হতে পারে।

অনেকেই বলেন, কাঁচা হলুদ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। কিন্তু ওমেগা থ্রির মতো কাঁচা হলুদও সবার জন্য নিরাপদ নয়। কাঁচা হলুদ খেলে গল ব্লাডার ভাল কাজ করে। গলব্লাডারস্টোন বা গলব্লাডারে ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। অথচ গলব্লাডারে স্টোন হলে কাঁচা হলুদই তার ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে।

নিয়মিত হলুদ খেলে পিত্তনালীতেও সমস্যা হতে পারে। কাঁচা হলুদ কিডনি স্টোনের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। কাঁচা হলুদ ইউটেরসের স্টিমুলেট করে, তাই গর্ভবতী মহিলাদের কাঁচা হলুদ এড়িয়ে যাওয়াই উচিত। রক্তে শর্করার পরিমাণ এক ধাক্কায় অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে কাঁচা হলুদ।

লবণ না হলে কি আর রান্নায় স্বাদ আসে! কিন্তু জানেন কি এই লবণ শরীরের কতটা ক্ষতি করে! হ্যাঁ ঠিকই। লবণ উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়।

সম্প্রতি গবেষণায় মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মার্কিন গবেষকরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত লবণে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে লিভারের। তবে লবণ শরীরের মধ্যে না থাকলেও সমস্যা। সোডিয়াম লেভেল পড়ে যাবে। গবেষকরা বলছেন, দিনে এক চা-চামচ লবণ একজনের জন্য যথেষ্ট।



মন্তব্য চালু নেই