প্রতিদিন কয়েক হাজার লোকের জন্য ফ্রি বিরিয়ানি

বেঞ্চে বসে পাতায় প্রায় ১ থেকে ২ হাজার মানুষ পরম তৃপ্তিতে খেয়ে চলেছেন বিরিয়ানি। খাওয়া শেষে দিতেও হয় না কোনো টাকা বা শ্রম। প্রতিদিনই এমন দৃশ্য চোখে পড়বে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলার বিজয়নগর ও চিমালপাদুর দরগাহ।

আর এই কর্মকাণ্ডের কাণ্ডারি হলেন আতাউল্লাহ শরিফ খাতাজ খাদিরি বাবা বা সংক্ষেপে খাদিরি বাবা। আবার বিরিয়ানি খাওয়ান বলে অনেকের কাছে বিরিয়ানি বাবা নামেও পরিচিত। গরিব-দুঃখীদের কাছে তিনি দেবতুল্য।

গত ৪০ বছর ধরে এভাবেই জীবসেবা করে আসছেন খাদিরি বাবা। তার দেয়া বিরিয়ানি ভোজে পছন্দমতো বিরিয়ানি বেছেও নেয়া যায়। রয়েছে নিরামিষ, চিকেন ও মাটন বিরিয়ানি। গরিবদের জন্য তার দরজা সবসময় খোলা। কখনও কখনও দৈনিক প্রায় ১০ হাজার মানুষও বিরিয়ানি খায় তার কাছে।

এত মানুষের রান্নার জন্য উপকরণও কম লাগে না। প্রতিদিন দুই টন বাসমতী চাল, এক কুইন্টাল চিকেন এবং মাটন, এক মণ দেশি ঘিয়ের প্রয়োজন পড়ে রান্নাঘরে।

খাদিরি বাবার গুরু এ মহৎ কাজ শুরু করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর খাদিরি বাবার উপরই গরিবদের খাওয়ানোর ভার ন্যস্ত হয়। সেই পরম্পরা এখনও চলছে, একইভাবে। ৪০ বছরের মধ্যে একদিনও তার দরজা বন্ধ হয়নি।

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ভক্তদের থেকে বিপুল অনুদান আসায় আগামীদিনেও হয়তো এর খামতি হবে না। গুরুর দিয়ে যাওয়া দায়িত্বকে আরো ভালোভাবে পালন করতে চান খাদিরি বাবা। এটাই এখন তার একমাত্র ও শেষ স্বপ্ন।



মন্তব্য চালু নেই