প্রতি জেলায় আবাসিক স্কুল হবে

দেশের প্রত্যেকটা উপজেলায় একটি করে কলেজ এবং একটি করে সরকারি স্কুল করা হবে। সেই সঙ্গে প্রতি জেলায় একটি করে আবাসিক স্কুলও করা হবে।

রোববার (২২ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ‘দেশের অনেক উপেজেলায় সরকারি স্কুল এবং কলেজ রয়েছে। আর যেসব উপজেলায় এখনো সরকারি স্কুল-কলেজ হয়নি আমরা সেখানকার তালিকার করে আগেই করে দেয়া হবে। শিক্ষার আলো দেশের পত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছাতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।’

প্রধানমন্ত্রী আরো জানান, প্রতিটি জেলায় আবাসিক স্কুল করে দেয়া হবে। যাতে করে ছেলে-মেয়েদের প্রতিদিন যাতায়াতের কষ্ট করতে না হয়। একই জায়গায় থেকে লেখাপড়া করতে পারে।

জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর শিক্ষা খাতকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘শিক্ষার পিছনে আমরা যেটা খরচ করছি এটাকে আমরা খরচ মনে করি না। এটাকে আমরা বিনিয়োগ মনে করি। কারণ সুষ্ঠু সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য শিক্ষাখাতে পুঁজি বিনিয়োগের চাইতে উৎকৃষ্ট বিনিয়োগ আর কিছু হতে পারে না বলে গেছে জাতির পিতা। বর্তমান সরকার সেই কথাই মাথায় রেখে দেশের শিক্ষা উন্নয়নে কাজ করছে।’

এ সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবাইকে মন দিয়ে লেখা-পড়া করতে হবে। কারণ এটাই একটা সম্পদ যা কেউ নিতে পারে না। টাকা পয়সা সব নিতে পারলে শিক্ষা কেউ নিতে পারে না। এটাই বড় সম্পদ। আর তোমরাই আগামী দিনের বাংলাদেশের ভবিষৎ। তোমরাই দেশেকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকতে পারে না। এ জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়ে আসরা বসে থাকিনি, এর বাস্তবায়ন করছি। এখন ছেলে মেয়রা হাতের নাগালে সব ধরনের প্রযুক্তি পাচ্ছে।’

এসময় প্রধানমন্ত্রী দেশের ছেলেমেয়েদের প্রশংসা করে বলেন, ‘বিশ্বের বহুদেশে গেছি, থেকেছি এবং দেখেছি। তাদের তুলনায় আমাদের ছেলে-মেয়েরা অনেক মেধাবী। অনেক দেশের ছেলে-মেয়েদের দুইয়ের সাথে দুই যোগ করলে কত হবে জিজ্ঞেস করলে তারা ট্যাব খুলে যোগ করে। আর আমাদের দেশের ছেলে মেয়েরা মুখেই বলে দিতে পারে ৪ হয়।’

দেশব্যাপী সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ ২০১৬ প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত জাতীয় পর্যায়ের সেরা ১২ জন এবং ২০১৫ সালের নির্বাচিত সেরা ১২ জন মেধাবীর হাতে পুরস্কার তুলে দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।



মন্তব্য চালু নেই