প্রত্যাশিত জয়ে কোয়ার্টারে বাংলাদেশ

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয়ই পেয়েছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরির ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ১১৪ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল।

রোববার কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এ’ গ্রুপের এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে শান্তর সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ২৫৬ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ৪৭.৩ ওভারে ১৪২ রানে অলআউট হয়ে যায় স্কটল্যান্ড।

২৫৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৪৮ রান তুলেছিলেন স্কটল্যান্ড। তবে ৪৮ থেকে, ৫৬, ৮ রানের মধেই তাদের ৩ উইকেট তুলে নেয় স্বাগতিকরা।

স্কটিশ অধিনায়ক ফ্ল্যাককে (২৮) শান্তর ক্যাচ বানিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মিরাজ। একই ওভারের শেষ বলে ওয়াইস শাহকে রানআউট করেন শান্ত। এরপর জন্সটনকে এলবিডব্লিউ করেন সঞ্জিত সাহার জায়গায় সুযোগ পাওয়া স্পিনার আরিফুল ইসলাম।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে স্কটল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত ১৬ বল বাকি থাকতেই ১৪২ রানে গুটিয়ে যায় স্কটিশের ইনিংস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন আজিম ডার।

বাংলাদেশের হয়ে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও সালেহ আহমেদ শাওন ৩টি করে উইকেট নেন। ২ উইকেট জমা পড়ে আরিফুল ইসলামের ঝুলিতে।

এর আগে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক নিল ফ্ল্যাক। সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি বাংলাদেশের।

১৭ রানের মধ্যে ওপেনার পিনাক ঘোষের সঙ্গে তিনে নামা জয়রাজ শেখও সাজঘরে ফিরে যান। দ্বিতীয় ওভারেই মোহাম্মদ গাফ্ফারের বলে এলবিডব্লিউ হন পিনাক (০)। আর জয়রাজ (১৩) অষ্টম ওভারে ওই গাফ্ফারের বলেই রায়ান ব্রোনকে ক্যাচ দেন।

১৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর সাইফ হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে দারুণভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ধীর গতিতে রান তুললেও দুজনই ফিফটির দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ৪৯ রানে মিচেল রাওয়ের বলে বোল্ড হয়ে যান সাইফ। তার ১০৮ বলের ইনিংসে ছিল দুটি চারের মার। শান্তর সঙ্গে তার তৃতীয় উইকেট জুটিতে আসে ১০১ রান।

সাইফ ফিফটি করতে না পারলেও শান্ত আসরে টানা দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নিতে কোনো ভুল করেননি। আগের ম্যাচে ৭৩ রান করা শান্তই অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। এই দুজনের ব্যাটেই দলীয় ২০০ রান পার করে বাংলাদেশ।

মিরাজও তুলে নেন ফিফটি। তবে ফিফটির পরই মিরাজের বিদায়ে ভাঙে ১০০ রানের জুটি। ৪৮ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৫১ রান করেন মিরাজ। আর শান্ত নিজের ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করেন। সেঞ্চুরির পথে অনন্য এক বিশ্ব রেকর্ড গড়েন শান্ত। যুব ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক এখন বাংলাদেশের এই যুবা।

শেষ পর্যন্ত ১১৩ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন শান্ত। শেষ দিকে ৫ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ১৬ রান করেন সাঈদ সরকার। নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশও তাই ৬ উইকেটে ২৫৬ রানের ভালো স্কোর পায়।



মন্তব্য চালু নেই