প্রথম ছ্যাঁকার পর কি করে মেয়েরা?

সবার জীবনেই প্রেম আসে। দার্শনিকদের মতে প্রতিটি প্রেমই নাকি প্রথম প্রেমের মত। তাই প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় প্রেম বলে কিছু নেই। তারপরও কিন্তু প্রথম প্রেম বলে কিছু একটা থেকেই যায়। যা প্রতিটি জীবনেরই হোক ভালো কি মন্দ, দারুণ এক অভিজ্ঞতা কিন্তু।

তবে প্রথম প্রেম মানেই আহামরি কিছু? না, বরং বলা যায় প্রথম প্রেমই সবচেয়ে গুরুত্বহীন। একটা বয়সে আমরা সকলেই প্রেমে পড়তে উদগ্রীব থাকি আর তখনই হুটহাট প্রেমটা ‘হয়ে যায়’।

সত্যি বলতে কি, পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষের প্রথম প্রেমটা কিন্তু সফল হয় না আর সেটা খুবই স্বাভাবিক। বরং প্রথম প্রেমটা হয় বেশিরভাগ মানুষের জন্যই একটা বিশেষ শিক্ষা। তবে এ শিক্ষাটা সব থেকে বেশি পেয়ে থাকেন মেয়েরা।

তারা প্রথম প্রেমে ছ্যাকা খেয়ে কি করেন? আসুন তবে জেনে নিই প্রথম ছ্যাকার খাওয়ার পর মেয়েরা কি করেন? বা এখান থেকে তারা কী কী শেখে?

১। প্রথম প্রেমের ভুল থেকে মেয়েরা প্রথমেই শিক্ষা নেয় যে, হুট করে কোন ছেলেন সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়া যাবে না। প্রথম প্রেম যেহেতু ব্যর্থ হবার সম্ভাবনাই বেশি থাকে, তাই খুব ঘনিষ্ঠ হওয়া হচ্ছে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভুল যার জন্য আজীবন পস্তাতে হতে পারে।

২। যে পুরুষ সন্তান ভালোবাসে না, তার সঙ্গে প্রেম করেও লাভ নেই। কেননা সেই প্রেম কখনও বিয়ের দিকে যাবে না। সন্তান ভালোবাসেন না যে পুরুষেরা, তারা বিয়েতেও আগ্রহী হন না সাধারণত। এদিকটাও তারা প্রথম প্রেম থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন।

৩। প্রথম প্রেমে মানুষের চেহারা বা বাহ্যিক সৌন্দর্যটাই সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। একটি ছেলে কেবল দেখতে সুন্দর, পেশীবহুল বা ওয়েল ড্রেসড- এটুকুর মানেই যে সে ভালো ও যোগ্য মানুষ, এই ধারণাটা মেয়েদের প্রথম প্রেমের পরেই ভাঙে।

৪। একজন বুদ্ধিমান মানুষ মাত্রই তার নিজস্ব একটি ব্যক্তিত্ব থাকবে। আর ব্যক্তিত্ববান ও রুচিশীল পুরুষ হচ্ছেন আদর্শ প্রেমিক ও স্বামী।

৫। প্রথম প্রেমটা মানুষের ভুলই হয়ে থাকে। আর এই ভুলটা করেই মেয়েরা বুঝতে পারে যে আসলে কেমন স্বামী বা প্রেমিক চাই তার।

৬। যে পুরুষ বই পড়ে না বা যার পড়াশোনা নিয়ে আগ্রহ নেই- এমন পুরুষ যে প্রেমিক বা স্বামী হিসাবে মোটেও সুখকর নন, সেটা বুদ্ধিমতী মেয়েরা প্রথম প্রেমের পরেই বুঝে নেয়।

৭। বিয়ে তাকেই করতে হবে, যিনি আজীবনের সঙ্গিনী চান। বিয়ে কোনও ছেলেখেলা নয়। প্রেম-প্রেম খেলে বেড়ানো ছেলেরা মূলত চরিত্রহীন হয়। যিনি আসলেই বিয়ে করে সংসার পাততে চান, এমন মানসিকতার পুরুষের সঙ্গেই প্রেম করা উচিত।

৮। মন তাকেই দিতে হবে, যে মনকে যত্নে রাখবে। যাকে তাকে মন দিলে কি হবে? মন কি এতই সস্তা?

৯। কীভাবে ঝগড়া করতে হবে? আর কিছু হোক বা না হোক, কীভাবে ঝগড়ার সময় কৌশলী হতে হবে সেটা প্রথম প্রেমে মেয়েরা ভালোই শিখে ফেলে।

১০। ভালো তাকেই বাসা উচিত, যিনি ভালবাসতে জানেন। ভালোবাসা একটি সম্পূর্ণ দু’তরফা ব্যাপার। এটা তখনই সুন্দর যখন দু’জন মানুষ পরস্পরকে সমান ভালোবাসেন। এক তরফা ভালোবাসা কষ্ট ছাড়া কিছুই দেয় না।



মন্তব্য চালু নেই