প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেতু নির্মাণের দাবি

ঢাকা-চ্ট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশেই ঢাকা-হোমনা সড়ক। দাউদকান্দি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ব্যবসায়ীক প্রাণকেন্দ্র গৌরীপুর বাজারের বুক চিরেই তৈরি হয়েছে এই ঢাকা-হোমনা সড়ক। কোল ঘেঁষে যাওয়া বাজারের উত্তর পাশে দাউদকান্দি ও তিতাস উপজেলার সংযোগস্থলে গোমতী নদী। এই নদীতে পাকা সেতু নির্মাণ বহু দিনের স্বপ্ন লক্ষ লক্ষ মানুষের। কিন্তু এই স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেছে এখনও।

শুধু তাই নয়, এই সেতুটি নিমার্ণ না হওয়ায় দাউদকান্দি, হোমনা, তিতাস, বাঞ্ছারামপুর, মেঘনা ও মুরাদনগর উপজেলার লক্ষ লক্ষ জনগণকে চরম বিপাকে ফেলে দিয়েছে। প্রতিনিয়তই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। গোমতী নদীতে বর্তমানে যে বেইলী সেতুটি রয়েছে, এর অবস্থা নাজুক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর উপর দিয়ে প্রতিদিন ৬ উপজেলার যানবাহন চলাচল করে। প্রতিদিনই সেতুর দুই পাশে এক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট লক্ষ করা যায়।

বিশেষ করে রোববার ঐতিহ্যবাহী গৌরীপুর বাজারের হাটের দিন হওয়ার ফলে এই যানজট পৌঁছে চরমে। সেতুর উভয় পাশেই সৃষ্টি হয় এক নাজুক পরিস্থিতির। শুধু তাই নয়, হাটের দিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পেন্নাই স্টেশন থেকে উত্তর দিকে দড়িকান্দি সেতু পর্যন্ত প্রায় ৩ কি.মি. দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়ে জনগণের স্বাভাবিক চলাচল বিঘিœত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।

জানা যায়, বিগত ৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে ঢাকা-হোমনা সড়কের অন্যান্য সেতুগুলো নির্মাণ হলেও দুই মন্ত্রীর ক্ষমতার দ্বন্দ্ব এবং পরবর্তীতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এই গোমতী সেতু নির্মাণ হয়নি।

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কর্তৃপক্ষ বলেন, ‘গোমতী সেতু এবং এর সাথে গৌরীপুর, হোমানা ও মুরাদনগর হয়ে কুমিল্লা-সিলেট সড়ক পর্যন্ত সংস্কারের জন্য একনেকের অনুমোদন হয়েছে এবং টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। এই সড়কে দড়িকান্দি বেইলী সেতু দুইবার ভেঙ্গে যাওয়ায় ৬টি উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে নড়বড়ে অবস্থায় গোমতী নদীর উপর যে বেইলী সেতুটি রয়েছে ভাড়ি যানবাহনের চাপে যদি তা ভেঙ্গে যায় ৬টি উপজেলার জনগনের দুর্ভোগের শেষ থাকবে না’।

এব্যাপারে স্থানীয়রা বলেন, ‘স্বয়ং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে ২০১০ সালের ৭ নভেম্বর দাউদকান্দি পিকিং বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনকালে এই সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেখানে এই সেতুটি তৈরি নিয়ে কেন এত জটিলতা? প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি, আমাদের বহু দিনের দুর্ভোগ লাঘবে তিনি যেন দয়া করে আমাদের এই সেতুটি দ্রুত নির্মাণের ব্যবস্থা করেন।’



মন্তব্য চালু নেই