প্রধানমন্ত্রী সংসদে নেই : সাহারা ঘুমে অন্যরা আড্ডায়

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে জাতীয় সংসদের বৈঠকে এমপিদের উপস্থিতি অর্ধেকে নেমে এসেছে। মন্ত্রিসভার বৈঠক থাকায় বেলা ১১টায় শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে অংশ নিতে পারেননি মন্ত্রীরাও । আর এই সুযোগে সংসদের বৈঠক চলে ঢিলেঢালাভাবে।

সংসদ নেতার সঙ্গে সঙ্গে অনুপস্থিত ছিলেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীও। এছাড়া বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদসহ অধিকাংশ এমপিও উপস্থিত ছিলেন না। আর যারা ছিলেন তারাও আড্ডা দিয়ে সময় কাটিয়েছেন। অন্যদিকে বরাবরের মতো ঘুমিয়ে সময় কাটান সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন (ঢাকা-১৮)।

২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের উপর আলোচনায় অংশ নিতে সোমবার ৩৫০ জন এমপির মধ্যে সংসদ কক্ষে উপস্থিত ছিলেন দেড়শ জনের মতো।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মৎস ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ প্রস্তাবিত বাজেটের উপর যখন বক্তব্য রাখছিলেন দুই সারি সামনের আসনে তখন ঘুমাচ্ছিলেন সাহারা খাতুন।

অন্যদিকে বৈঠকে সভাপতিত্ব করা ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে চেয়ারে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন নূরে ই আলম চৌধুরী লিটন (মাদারীপুর-১) ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু (কুমিল্লা-৫)। তাদের মুখোমুখি ছিলেন এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৬), আলী আশরাফ (কুমিল্লা-৭), এবিএম মোজাম্মেল হক (শরীয়তপুর-১), হুইপ ইকবালুর রহমান (দিনাজপুর-৩)। খোশ গল্পে মেতে ছিলেন তারা। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন জাহিদ আহসান রাসেল (গাজীপুর-২)।

অন্যদিকে ঢাকা-১৯ আসনের এমপি এনামুর রহমান উচ্চস্বরে ফোনে কাউকে ধমকাচ্ছিলেন; যা সাংবাদিক গ্যালারি থেকে শোনা যাচ্ছিল।

বিরোধী দলের আসনে থাকা জাতীয় পার্টির সালমা ইসলামও (ঢাকা-১) ছিলেন গুল্পে মশগুল। তার গায়ে হাত রেখে আরেকজন মহিলা সদস্য গল্প করছিলেন।

এছাড়া সরকারি দলের সামনের আসনে ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। আর বিরোধী দলের আসনে ছিলেন মাত্র দুই জন। এরা হলেন কাজী ফিরোজ রশীদ ও জিয়াউদ্দিন বাবলু। এভাবে ঢিলেঢালাভাবে চলছিল সংসদের সোমবারের বৈঠক।

বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অর্থমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর অনুপস্থিতির কারণে এমপিদের অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

অধিবেশন শুরু হলে কার্যসূচিতে থাকা প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপনের পর বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিতে কুমিল্লার সংসদ সদস্য সুবিদ আলী ভূইয়াকে আহ্বান জানান ডেপুটি স্পিকার।

এ সময় জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ ও বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর চান। কিন্তু ডেপুটি স্পিকার ফ্লোর না দেয়ায় ফিরোজ রশীদ মাইক ছাড়াই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানের অনুপস্থিতির বিষয়ে ফজলে রাব্বীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

পরে সুবিদ আলী ভূইয়া তার বক্তব্যের ফাঁকে বলেন, অর্থমন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী যদি না থাকেন তাহলে বাজেটের উপর আলোচনা করে কী লাভ?



মন্তব্য চালু নেই