প্রধান জল্লাদ রাজু কেন্দ্রীয় কারাগারে

মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রধান দুই জল্লাদের মধ্যে জল্লাদ রাজু ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এসে পৌঁছেছে।

মঙ্গলবার (১০ মে) বেলা ৩টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটক দিয়ে তাকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেখা যায়। তবে এখনো অন্য প্রধান জল্লাদ শাহজাহানের কারাগারে পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের জন্য প্রধান জল্লাদ হিসেবে সন্ধ্যা নাগাদ কাশিমপুর কারাগার থেকে শাজাহান ও রাজুকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হতে পারে বলে জানিয়েছিল কারা কর্তৃপক্ষ। তবে মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করা প্রধান জল্লাদ জনি ও ছাত্তার এবার থাকছেন না বলেও তারা জানায়।

কারা সূত্রটি আরও জানায়, জনির বাম পা কেটে ফেলা হয়েছে এবং ছাত্তারের কোমড়ে রয়েছে সমস্যা। সে কারণেই তাদের আনা সম্ভব হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, নিয়মানুযায়ী রায় পড়ে শোনানোর পরবর্তী সাতদিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হয়। তবে নিজামীর দল জামায়াতের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে- নিজামী তার স্বজনদের জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইবেন না তিনি। আল্লাহ ছাড়া আর কারও কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। তাই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন না করলে নিজামীকে ফাঁসির রশিতে ঝোলাতে আইনগত আর কোনো বাধা থাকবে না।

এদিকে সোমবার (০৯ মে) একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর রিভিউ খারিজের রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রারের দপ্তর থেকে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। রায় প্রকাশের পর সেটি পাঠানো হয় ট্রাইব্যুনালে। সেখান থেকে রায়ের কপি যায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।

গত বৃহস্পতিবার (০৫ মে) মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মতিউর রহমান নিজামীর রিভিউ খারিজ করে দেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এক শব্দের এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারপতি শুধু বলেন, ‘ডিসমিসড’।



মন্তব্য চালু নেই