প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরা শহর উপকণ্ঠের তালতলা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলাম কর্তৃক সহকারী শিক্ষক মোর্তজা আলমকে চাকরীচ্যুতির ষড়যন্ত্র ও তার অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বৈরাচারী আচরনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানববন্ধনে শতাধিক শিক্ষক, বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি ও এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ,বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক দু’জন সভাপতিসহ এলাকার বিশিষ্ট লোকজন। পরে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হক হক বলেন, প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলাম একজন দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি। বিদ্যালয়ের আর্থিক লুটপাটের কারনে ২০১৩ সালে তাকে বরখাস্ত করা হয়। পরে তিনি তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে স্বপদে ফিরে আসেন। এসময় মোর্তজা আলম লিটনসহ যেসব শিক্ষক তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন,তাদেরকে হেনস্তা করতে তিনি বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন।
সাবেক সভাপতি সোলায়মান আহম্মেদ বলেন,অযোগ্য ও অথর্ব এই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে বসে বসে চতুর্মূখী ষড়যন্ত্র নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। সে কারনে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফলাফল ভাল নয়।
সাতক্ষীরা জেলা সহকারী শিক্ষক সংগঠনের আহবায়ক অরুপ সাহা বলেন,নিরীহ শিক্ষকদের ভাগ্য নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলবে,সহকারী শিক্ষকদের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
অনুরুপ হুশিয়ারী ব্যক্ত করেন সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমান,তালার নিশিকান্ত ব্যানার্জী, কালিগঞ্জের মিজানুর রহমান,শ্যামনগরের সন্দীপ সরকার,স্থানীয় মজিবর রহমান,হাসানুর রহমান,ভদ্রকান্ত সরকার,নির্যাতিত শিক্ষক এস এম মোর্তজা আলম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে চাকরীচ্যুতির ষড়যন্ত্রের শিকার সহকারী শিক্ষক এস, এম, মোর্তজা আলম, বলেন, ২০১০ সালের ৭ আগষ্ট তিনি তালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (সমাজবিজ্ঞান) পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। পরে ২০১১ সালের ১লা মে থেকে তিনি বিএড স্কেলে বেতন পেয়ে আসছেন। সম্প্রতি তিনি বেতন বিলে বিএড স্কেল বাদ দিয়ে বিল প্রস্তুত করছেন যা সম্পূর্ণ আক্রোশমূলক। শুধু তাই নয়, তার বেতন ভাতাদি বন্ধ করার জন্য ২৩ মে তারিখে ৬টি অভিযোগ সংক্রান্ত তিনটি কারণ দর্শানোর নোটিশ ইস্যু করেন। তিনি আশঙ্কা করছেন তাকে বরখাস্তের জন্যই তিনটি কারন দর্শানো নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে।
মোর্তজা আলম আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, এতদিন শিক্ষকতা করার পর তিনি চাকরীচ্যুতির শিকার হলে পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় যাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলামের চাঁদাবাজি ও ঘুষবানিজ্যের কিছু তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষকের তার দফায় দফায় কথা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক তাকে স্পষ্টতঃ জানিয়ে দেন,সমস্যার সমাধান করতে হলে তাকে লক্ষাধিক টাকা দিতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে মোর্তজা আলম প্রধান শিক্ষকের সাথে তার আলাপচারিতার রেকর্ডকৃত অংশ বাজিয়ে শোনান।



মন্তব্য চালু নেই