প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে এডিবির ইতিবাচক পূর্বাভাস

চলতি অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে ইতিবাচক পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। তাদের মতে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) গত অর্থবছরের তুলনায় বাড়বে এবং বার্ষিক মূল্যস্ফীতি কমবে। এ ছাড়া আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার আরো বাড়বে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এডিবির কার্যালয়ে প্রকাশিত বার্ষিক এক প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়।

‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক ২০১৬ আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি সারা বিশ্বে একযোগে প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এডিবির প্রিন্সিপাল কান্ট্রি স্পেশালিস্ট মোহাম্মদ পারভেজ এমদাদ প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজুহিকো হিগুচি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের সম্ভাব্য জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। আর আগামী ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৬ দশমিক ৯ শতাংশে।

আউটলুকে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি, রপ্তানি বৃদ্ধি, রেমিটেন্স বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ বাড়ার ফলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে। একই সঙ্গে দেশের মূল্যস্ফীতিও সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে সংস্থাটি পূর্বাভাস দিয়েছে।

মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে এডিবি বলেছে, চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়াবে ৬ দশমিক ২ শতাংশে, যা ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ছিল ৬ দশমিক ৪ শতাংশ।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বেশ কিছু পলিসি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- নির্দিষ্ট সময়ে ভ্যাট আইনের প্রয়োগ, জমি রেকর্ড এবং ভূমি ব্যবস্থাপনার ডিজিটাল করা, রপ্তানি বাধা দূর করা, তেল ও বিদ্যুতের সঠিক ব্যবহার, এডিপি বাস্তবায়ন সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা ফেরাতে সংস্কার করা।

বলা হয়েছে, প্রবৃদ্ধি সামান্য বাড়বে কারণ হচ্ছে, পোশাক খাতের রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সার্বিক রপ্তানি বাড়বে, সরকারি পে-স্কেল বাস্তবায়িত হওয়ায় এবং রেমিটেন্স বাড়ায় বেসরকারি ভোগ বাড়বে।

খাতভিত্তিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে কৃষিখাতে প্রবৃদ্ধি সামান্য কমবে। অর্থাৎ এ খাতে প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৩ দশমিক ২ শতাংশে, যা ২০১৫ অর্থবছরে ছিল ৩ দশমিক ৩ শতাংশ।

শিল্পখাতে সামান্য প্রবৃদ্ধি বাড়বে। এ খাতে প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরে হবে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে তৈরি পোশাকখাত ম্যানুফ্যাকচারিং, অভ্যন্তরীণ বাজার এবং নির্মাণ শিল্প বেশ ভূমিকা রাখবে।

সেবাখাতে প্রবৃদ্ধি সামান্য বাড়বে। এটি দাঁড়াবে ৫ দশমিক ৯ শতাংশে, যা অর্থবছর ২০১৪-১৫ এ ছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। এক্ষেত্রে শিল্পের প্রসার, পর্যটন, টেলিযোগাযোগ, স্বাস্থ্য, শিল্প এবং প্রযুক্তিখাত ভাল ভূমিকা রাখবে।



মন্তব্য চালু নেই