প্রশাসনের ভেতরেও জঙ্গিবাদের ভূত ঢুকেছে

জঙ্গিদের বিষয়ে সরকারের পশ্রয় ও সহনসীলতায় তাদের কর্মকাণ্ডকে প্রসারিত করছে। একই সঙ্গে সকল হত্যাকাণ্ডের পরে সেসব ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন দাবি করে সেই দায় চাপানো হয়। দায় এড়ানোর ও দায় চাপানোর এই প্রক্রিয়ার ফলে জঙ্গিবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি প্রশাসনের ভেতরেও ‘ভূত’ ঢুকেছে। একই সঙ্গে এই ভূত পুলিশকে অকার্যকর করে রেখেছে।

প্রকাশক, লেখক, ব্লগারসহ একের পর এক হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে গণজাগরণ মঞ্চের মিছিলে পুলিশি বাধার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব কথা বলেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার।

সাড়ে ১২টার দিকে কফিন মিছিল শাহবাগ থেকে টিএসসি, দোয়েল চত্বর হয়ে হাইকোর্ট পেরিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। এরপর তারা সেখানেই অবস্থান নেন। এরপর ডা. ইমরানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান।

যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে রওনা হয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ তাতে অযাচিতভাবে বাধা দিয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।’

তিনি আরো বলেন, ‘আজ শুধু মুক্তমনা ব্লগার লেখক ও প্রকাশকদেরই নয়, পুলিশকেও হত্যা করা হচ্ছে। তা থেকে বাদ যাননি ইসলাম প্রচারক পীর-মাশায়েখরাও। যারাই ধর্মীয় উগ্রবাদীদের মতবাদের বিরুদ্ধ রয়েছেন তাদেরই তারা হত্যা করা হচ্ছে।’

পুলিশকে অকার্যকর করে রাখা হয়েছে দাবি করে ডা. ইমরান বলেন, ‘জঙ্গিদের বিষয়ে সরকারের প্রশ্রয় ও সহনশীলতা তাদের কর্মকাণ্ডকে প্রসারিত করছে। একই সঙ্গে সকল হত্যাকাণ্ডের পরে সেসব ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন দাবি করে সেই দায় চাপানো হয়। দায় এড়ানোর ও দায় চাপানোর এই প্রক্রিয়ার ফলে জঙ্গিবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি প্রশাসনের ভেতরেও ভূত ঢুকেছে।’

মিছিলে রাজীব হায়দার, অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর বাবু, অনন্ত বিজয় দাশ, নীলাদ্রি চট্টোপ্যাধায় ওরফে নীলয় নীল ও সর্বশেষ ফয়সাল আরেফীন দীপনের হত্যার প্রতিবাদে ছয়টি কফিন সাজানো হয়েছে। এ ছাড়া ‘পরবর্তী টার্গেট কে’ লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করছেন মঞ্চের নেতাকর্মীরা।

মিছিলে ‘মুক্তচিন্তায় হামলা, রুখে দাঁড়াও বাংলা’, ‘বাধা আসবে যেখানে, লড়াই হবে সেখানে’, ‘বাধা এলে বাধবে লড়াই, এ লড়াইয়ে জিততে হবে’, ‘চলছে লড়াই চলবে, শাহবাগ জিতবে’, ‘একাত্তর স্মরণে ভয় করি না মরণে’ প্রভৃতি স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ।

একই দাবিতে গত মঙ্গলবার গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বানে সারা দেশে অর্ধদিবস হরতাল পালিত হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার বিকেল ৩টায় শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল হবে।



মন্তব্য চালু নেই