প্রশ্নপত্রে ভুল : ১৪ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ

২০১২-১৩ সেশনে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ভুল থাকায় এক শিক্ষার্থীর প্রাইভেট মেডিক্যালের ভর্তির প্রয়োজনীয় খরচ দিতে এবং একটি সরকারি মেডিক্যালে ভর্তি করাতে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার আপিল বেঞ্চ এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা এক আবেদনের নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক।

ওই শিক্ষার্থীর পক্ষে ছিলেন তার বাবা আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক সাংবাদিকদের জানান, ওই শিক্ষার্থী একটি প্রাইভেট মেডিক্যালে ভর্তি হয়েছিল। এ জন্য তার যে পরিমাণ খরচ হয়েছিল তা তৎকালীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং পরিচালক (হেলথ অ্যান্ড মেডিক্যাল এডুকেশন) এর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দিতে হবে। এবং তাকে গোপালগঞ্জের সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘প্রশ্নপত্রে ভুল থাকায় আমার মেয়ে পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি। পরে বেসরকারি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হতে এ পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ১৪ লাখ টাকারও বেশি।’

তিনি জানান, ২০১২-২০১৩ সেশনে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ৩৮টি ভুল ছিল। ভুল প্রশ্নের বৈধতা নিয়ে ওই সময়ে হাইকোর্টে রিট করি। প্রশ্নপত্রে ভুল না হলে আমার মেয়ে পরীক্ষায় পাস করতো। চলতি বছরের ৫ মার্চ প্রশ্নপত্রে ৭টি ভুল চিহ্নিত করে হাইকোর্ট আমার মেয়েকে একটি সরকারি মেডিক্যালে ভর্তির নির্দেশ এবং বেসরকারি মেডিক্যালে আমার মেয়েকে ভর্তিতে যে টাকা খরচ হয়েছে তা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে যায় রাষ্ট্রপক্ষ। রোববার আপিল বিভাগ বিষয়টি নিষ্পত্তি করে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।



মন্তব্য চালু নেই