প্রসাধন সামগ্রীর মেয়াদ কতদিন থাকে?

আমরা সবাই জানি যে কোনো জিনিসের গায়ে তা কতদিন ব্যবহারযোগ্য তা লেখা থাকে৷ সেই তারিখ ও দেখেই আমরা সেসব জিনিস কিনি বা ব্যবহার করি৷ আমাদের প্রসাধন সামগ্রীও তার ব্যতিক্রম নয়৷ কিন্তু সমস্যা হল এই প্রসাধন সামগ্রীর গায়ে যে তারিখ পর্যন্ত ব্যবহারের নির্দেশ থাকে তার আগেই কিছু প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার করা ঝুঁকি হয়ে পড়ে৷ একটি প্রসাধন সামগ্রীর মুখ খোলার পরে তা কতদিন পর্যন্ত ব্যবহারযোগ্য তা জানা দরকার প্রত্যেকের৷

ধরা যাক একটি কাজল পেনসিল কিনেছেন৷ তার গায়ে যা তারিখ রয়েছে তা অনুযায়ী দুই বছর পর্যন্ত কাজলটির মেয়াদ রয়েছে৷ কিন্তু তার মানে কখনওই এই নয় যে আপনি কাজলটি ব্যবহার শুরু করার পর থেকে আপনার চোখে দীর্ঘ দুই বছর পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন৷ তাতে আপনার চোখে নানা রকম সমস্যা হতে পারে৷ চোখে জ্বালা ব্যাথা ইনফেক্সন হতে পারে৷ তার থেকে সাবধান থাকতেই জেনে রাখুন কোন প্রসাধন সামগ্রীর মুখ খোলার পর থেকে কতদিন পর্যন্ত তা ব্যবহার করা নিরাপদ৷

১) চোখের জন্য যেসব মেক-আপ ব্যবহার করা হয় তা সবচেয়ে তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। যেমন- মাসকারা বা আই লাইনার সিল খোলার তিন মাসের মধ্যে নষ্ট হতে থাকে। মাসকারা জমে গলে কখনও জল মিশিয়ে সেটা ব্যবহার করবেন না। এতে ব্যাক্টেরিয়ার জন্ম হতে পারে।

২) তরল ফাউনডেশন, কনসিলার ইত্যাদির আয়ু ছয় মাসের বেশী থাকে না। তাই চেষ্টা করুন ছোট ছোট পরিমাণে কিনতে। ব্যবহার শুরু করার ছয় মাসেই ফুরিয়ে যায় এই প্রসাধনীর নিরাপদ ব্যবহৈরের মেয়াদ।

৩) আই এবং লিপ পেন্সিল এক বছর পর্যন্ত ভাল থাকে।

৪) ক্রিম ফাউন্ডেশন ও ক্রিম আই শ্যাডো তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত থাকে। ভাল ব্র্যান্ডের কসমেটিকস হলে অবশ্য এক বছর পর্যন্ত ব্যবহারের উপযোগী থাকে।

৫) পাউডার বেসড প্রডাক্ট দুই বছর ভাল থাকে। পাউডার আইশ্যাডো ব্যবহার শুরুর প্রায় তিন বছর পর্যন্ত ভাল থাকে। তবে ব্লাশঅন ভালো থাকে ছয় মাস পর্যন্ত।

৬) ক্রিম ও জেল কিনজার মোটামুটি নেলপলিশ এক বছর ভাল থাকে আর ঠিকমত সংরক্ষণ করতে পারলে আরও কিছুদিন ভাল রাখা যাবে।

৭) ফেসিয়াল ক্লিঞ্জার প্রায় ছয় মাস ভাল থাকে। আর ফেসিয়াল টোনার নিশ্চিন্তে এক বছর পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন।



মন্তব্য চালু নেই