প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি করুন জীবাণুনাশক

প্রায় শতবর্ষ পূর্বে ১৯২৮ সালে যুগান্তকারী জীবানুনাশক পেনিসিলিন আবিষ্কারের পূর্ব পর্যন্ত বিশ্বের মানুষ ইনফেকশন বা জীবাণুর সংক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রাকৃতিক উপাদান বা ন্যাচারস এন্টিবায়োটিকস ব্যবহার করতো। এমনকি ইসলামিক স্কলার ও চিকিত্সাবিদগণও এসব ন্যাচারস এন্টিবায়োটিকস সম্পর্কে নানাভাবে উল্লেখ করেছেন।

শতবর্ষ পরে আজকের আধুনিক বিজ্ঞান ঐ সব ন্যাচারস এন্টিবায়োটিকস সম্পর্কে গবেষণা করে চমৎকার সব তথ্য দিচ্ছেন। বিদেশি স্বাস্থ্য ম্যাগাজিন অবলম্বনে আজকের লেখা প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া জীবানুনাশক বা ন্যাচারস এন্টিবায়োটিকস নিয়ে। এ ধরনের ১৭টি প্রাকৃতিক উপাদানের তথ্য তুলে ধরা হলো যাতে জীবানুনাশক উপাদান রয়েছে। এসব উপাদান হচ্ছে, অল স্পাইস, অ্যাসপারাগাস, ব্যাসিল, বিয়ার বেরি, ব্লুবেরি, চেরি, ক্রানবেরি, একিনাসিয়া, ইউক্যালিপটাস, রসুন, গোল্ডেনসিল, গ্রিনটি, মধু, অবিগানো, পমিগ্রানেট, টি ট্রি ও ইয়োগার্ট ইত্যাদি।

বিশেষজ্ঞগণ নানা গবেষণায় দেখেছেন অলস্পাইস খাবারে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে রোধ করে। অ্যাসপারাগাস শ্বেত কনিকাকে শক্তি যোগায় যাতে করে ই-কলাই ও স্টাফাইলো কক্কাসের মত জীবানু সংক্রমণ রোধ করে। বাসিল অয়েল ক্ষত সারাতে কার্যকর এবং রান্নার তেল হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের অ্যারোমেটিক হারব ২ হাজার বছর ধরে জীবানুনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিয়ার বেরির যৌগ উপাদান মূত্রনালী ও অন্ত্রনালীর ইনফেকশন রোধে কার্যকর। ব্লুবেরি ব্যাকটেরিয়া রোধসহ মূত্রনালির সংক্রমণ রোধ করে। চেরিফল দাঁতের প্লাক ও গাম ডিজিজ বা মাড়ির রোগ রোধে সহায়ক। ক্যানবেরি মূত্রনালীর ইনফেকশন রোধে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একিনাসিয়া নামের প্লান্ট টিংচার হিসাবে ব্যবহৃত হয় এবং শ্বেতকনিকাকে জীবানুনাশক করতে সহায়তা করে। ইউক্যালিপটাস নামক এরোমেটিক লিফ বা পাতা শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহ চিকিত্সায় ব্যবহৃত হয়। গার্লিক বা রসুন পুরাতন যুগ থেকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং রসুনের নানা ভেষজ গুণের পাশাপাশি জীবানুনাশক হিসেবে কার্যকর। রসুনের এলিসিন নামক উপাদানের ব্যবহার হচ্ছে এন্টিবায়োটিক হিসেবে। এছাড়া মধু, আবিগানো, পমিগ্রানেট বা বেদানা, টি ট্রি ও ইয়োগার্টে রয়েছে নানাবিধ ভেষজগুণ ও এন্টিবায়োটিকস ইফেকটস বা জীবানুনাশী ক্ষমতা।

সুত্রঃ ইত্তেফাক



মন্তব্য চালু নেই