প্রাণভিক্ষা চাইবেন না নিজামী

যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসি থেকে এক ধাপ দূরে থাকা জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবে না বলে জানিয়েছে দলটি।

শুক্রবার গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে নিজামীর সঙ্গে স্ত্রীসহ নিজামীর পরিবারের ছয় সদস্য সাক্ষাৎ করতে গেলে নিজামী তাদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বলে জামায়াত এক বিবৃতিতে দাবি করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিজামী তার স্বজনদের জানিয়েছেন, তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন না। ‘আল্লাহ ছাড়া আর কারও কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না।’

জামায়াতের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নিজামী বলেছেন- আমি স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করছি প্রাণের মালিক আল্লাহ। সুতরাং আল্লাহ ছাড়া আর কারও কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমি দেশবাসীকে আমার সালাম জানাচ্ছি ও দোয়া চাচ্ছি, যাতে আমি জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ঈমানের ওপর দৃঢ় ও অবিচল থাকতে পারি। আমি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টির জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। আল্লাহ আমার জন্মভূমি এই প্রিয় বাংলাদেশকে ইসলামের জন্য কবুল করুন। আমীন।’

জামায়াতের আমির বলেন, ‘আমার মাঝে কোনো দুর্বলতা নেই। আমি কোনো অন্যায় করিনি। সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এ সরকার আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। আল্লাহ যদি আমাকে শহিদী মৃত্যু দেন, তাহলে সেটা হবে আমার চরম সৌভাগ্য।’

পরিবারের বরাতে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নিজামী মানসিকভাবে অত্যন্ত মজবুত এবং দৃঢ় আছেন। মৃত্যুদণ্ডের আদেশে তিনি মোটেই বিচলিত নন। ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন’ উল্লেখ করে পরিবার, জামায়াতের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে ধৈর্য ধারণ করার আহবান জানান।

তবে দলের পক্ষ থেকে এমন বিবৃতি দেয়া হলেও কারা কর্তৃপক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। নিজামীর প্রাণভিক্ষার আবেদনের বিষয়ে কাশিমপুর কারাগার পার্ট-২ এর জেলার মো. নাশির আহমেদ বলেন, রায়ের চূড়ান্ত কপি কারাগারে এলে তার মতামত জানতে চাওয়া হবে।

মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর নিজামীর সামনে অপরাধ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগ বাকি আছে। প্রাণভিক্ষা না চাইলে তার ফাঁসি কার্যকরে আর কোনো বাধা থাকবে না। আর প্রাণভিক্ষা চাইলে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।



মন্তব্য চালু নেই