প্রাত্যহিক যে কাজগুলো পিঠে ব্যথার জন্য দায়ী

মেরুদন্ডের সমস্যা বা পিঠে আঘাত লাগা ছাড়াও আরো অনেক কাজ আছে যা ব্যাক পেইন এর জন্য দায়ী। বাস্তবে আপনার দৈনিক কাজগুলোই আপনার পিঠের সমস্যার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। আপনি যদি সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি করেন, ভারী জিনিস উঠান অথবা ভারী ব্যাগ এক কাঁধে বহন করেন, তাহলে আপনি পিঠে ব্যথা অনুভব করবেন। দৈনন্দিন এমন কিছু কাজের কথাই জানবো আজ যা পিঠের জন্য ক্ষতিকর এবং কার্যকরী কিছু টিপসও জেনে নেব।

১। ভারী বস্তু উঠান

এক হাতে ভারী বস্তু বহন করাই শুধু নয়, বেঠিকভাবে ভারী বস্তু উঠানো বা টানলেও পিঠে ব্যথা হতে পারে। এছাড়াও ভারী বস্তুকে আলিঙ্গন করে উত্তোলনের চেষ্টা করলেও পিঠের পেশীতে টান পড়তে পারে।

টিপস – কোন কিছু তোলার সময় প্রথমে খাট হয়ে নিন অর্থাৎ হাঁটু মুড়ে বসুন, তারপর বস্তুটি উঠান। ভারী ব্যাগ কখনোই এক কাঁধে বহন করবেন না। এক্ষেত্রে ব্যাকপ্যাক ব্যবহার করুন।

২। এব্রোথেব্রো রাস্তায় ড্রাইভ করলে

হ্যাঁ উঁচুনিচু রাস্তায় গাড়ী চালালে পিঠের উপর চাপ পড়তে পারে। ঘন্টার পর ঘন্টা একই ভাবে বসে থাকলে অথবা দীর্ঘক্ষণ গাড়ী চালালে পিঠে ব্যথা হতে পারে।

টিপস – যদি আপনি দীর্ঘ যাত্রার ভ্রমনে বের হন তাহলে কিছুক্ষণ পর পর বিরতি নিন যাতে পিঠের উপর এবং শ্রোণি অঞ্চলে চাপ কম পড়ে। ড্রাইভিং করার পূর্বে আপনার সিটটি এডজাস্ট করে নিন যাতে পিঠের উপর কম চাপ পড়ে।

৩। দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে

যদি আপনার কাজের জন্য আপনাকে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে হয় তাহলে আপনার পিঠে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ৬-৮ ঘন্টা বসে থাকতে হলে শিরদাঁড়ার উপর মাত্রাহীন চাপ পড়ে এবং এর ফলে জৈবরাসায়নিক পরিবর্তন হয় পিঠে। একই স্থানে এবং একই ভঙ্গিমায় দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার ফলে পিঠের ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।

টিপস – পিঠের ব্যথাকে এড়িয়ে চলার জন্য এক ঘন্টা পর পর চেয়ার ছেড়ে উঠুন এবং কিছুক্ষণ হেঁটে আসুন। সহজ কিছু ব্যায়াম করে নিতে পারেন চেয়ারে বসেই অথবা করিডোরে বা ওয়াশ রুমে যেয়ে।

৪। বসার ভঙ্গি

টিভি দেখার সময়, গেম খেলার সময়, মোবাইলে অনবরত মেসেজ করার সময় অথবা লেপটপে কোন কাজ করার সময় বেশিরভাগ মানুষই বাঁকা হয়ে বা উপুড় হয়ে বসে যার ফলে পিঠে ও মেরুদন্ডে চাপ পড়ে এবং পিঠে ব্যথা হয়।

টিপস – মনে রাখবেন পিঠে ব্যথার একটি প্রধান কারণ হচ্ছে ভুলভাবে বসা। তাই মারাত্মক পিঠে ব্যথা ও মেরুদন্ডের সমস্যা প্রতিরোধের জন্য আপনার বসার ভঙ্গি ঠিক করুন।

৫। খুব নরম তোশকে ঘুমানো

হ্যাঁ খুব বেশি নরম তোশকে ঘুমালেও পিঠে আরাম দিতে পারেনা। বস্তুত এটি মেরুদন্ডের হাড়ের আকৃতিতে সামান্য পরিবর্তন করতে পারে। এতে পেশী, লিগামেন্ট ও জয়েন্টের উপর ও চাপ পড়ে।

টিপস – আপনাকে খুব বেশি শক্ত তোশকে শুতে হবেনা কারণ এতেও আপনার পিঠে ব্যথা হতে পারে। তাই এমন তোশক বেঁছে নিন যা খুব বেশি নরম ও নয় আবার খুব বেশি শক্ত ও নয়।



মন্তব্য চালু নেই