প্রাথমিকে আরও ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ মে মাসে

সারাদেশে সরকারি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আরও ১০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। এ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী মে মাস থেকে। শিক্ষক সংকট নিরসনে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, পুল ও প্যানেলভুক্ত শিক্ষকদের মামলা জটিলতায় গত তিন বছর থেকে সরকারি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত হয়। এ ক্যাটাগরির শিক্ষকদের নিয়োগ জটিলতা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে আদালত থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়। ফলে ২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও তা স্থগিত হয়ে যায়।

সূত্র জানায়, এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর থেকে আবেদন শুরু হয়ে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে আবেদন প্রক্রিয়া, সেখানে ১০ হাজার আসনে প্রায় ১২ লাখ আবেদন জমা পড়ে। পরে মামলা জটিলতায় এ নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়। এরপর পুল ও প্যানেলের সব শিক্ষককে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে ৩০ মার্চের মধ্যে এসব শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এ নির্দেশনার ভিত্তিতে দেশের সব জেলা থেকে শূন্য আসনের তালিকা সংগ্রহ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতর।

জানা গেছে, সারাদেশে প্রায় সরকারি শিক্ষকদের ২৫ হাজারের বেশি শূন্য পদ রয়েছে। তার মধ্যে ১৭ হাজার পুল ও প্যানেল শিক্ষক রয়েছে। তাদের অনেকে অন্য চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। তাই সব মিলিয়ে প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষক যোগদান করতে পারেন। এ কারণে মে মাসে নতুন নিয়োগের মাধ্যমে বাকি শিক্ষক শূন্য আসনে পূরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতরের আইন শাখার কর্মকর্তা আসাদুল আলম বলেন, পুল-প্যানেল শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়ায় আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়িত হয়েছে। ফলে এখন থেকে শিক্ষক নিয়োগে আর কোনো জটিলতা থাকছে না। বিষয়টি লিখিতভাবে আদালতকে জানানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।

শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক সুলতান মাহামুদ বলেন, সারাদেশের প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক সংকট নিরসনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে শূন্য আসনগুলোতে ইতোমধ্যে পুল-প্যানেলভুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে এ প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। তাদের নিয়োগ দেয়ার পর ২০১৪ সালে স্থগিত হওয়া নিয়োগের মাধ্যমে সহকারী শিক্ষকদের বাকি পদগুলো পূরণ করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই