ঢাবিতে প্রাধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগ

পদত্যাগের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলামকে প্রায় তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছে হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হলের সিট নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর রাত ৩টা ২৩ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্রলীগ নেতাদের দাবি-দাওয়া পূরণের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন তারা।

হল সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে হল প্রাধ্যক্ষের নেতৃত্বে হলের আবাসিক শিক্ষকরা হলের বিভিন্ন রুম তল্লাশি করেন। এ সময় হলের রফিক ভবনের ৫০১ কক্ষের দুই জন ছাত্রকে তার অ্যাটাচমেন্ট অনুযায়ী হলের সালাম ভবনের ৪০৩ নম্বর রুমে স্থানান্তর করতে চান আবাসিক শিক্ষকরা।

এতে ছাত্রলীগের এক নেতা বাধা দিলে তার বেডশিট প্রশাসনিক রুমে নিয়ে আসেন শিক্ষকরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হলের প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে।

ওই সময় প্রাধ্যক্ষের ঢাকা মেট্রো গ ১২-৩৮০০ ব্যক্তিগত গাড়ি ও হলের প্রশাসনিক রুমে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধরা। পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকে তারা।

জানা গেছে, হল প্রাধ্যক্ষ দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে নির্দেশ দিয়ে আসছিলেন। যেখানে হলের কয়েকজন ছাত্রলীগের পদধারী নেতাও রয়েছেন। এ ঘটনায় তারাও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মী প্রাধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে তার পদত্যাগ দাবি করে।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং ছাত্রলীগের নেতারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। তাতেও তারা অবরোধ প্রত্যাহার না করলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘যদি তোমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী হও এবং আমাদের অভিভাবক মেনে থাকো, তাহলে প্রত্যেক নেতা তার কর্মীদের নিয়ে রুমে ফিরে যাও। আর যদি না যাও তাহলে আমরা চলে যাচ্ছি, তোমরা তোমাদের মতো যা ইচ্ছা তাই করো।’

তখন সব নেতা নিজের কর্মীদের নিয়ে রুমে ফিরে যায়। পরে প্রক্টরসহ ছাত্রলীগ নেতারা প্রাধ্যক্ষকে বাসায় পৌঁছে দেয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ বলেছেন, ‘ছাত্ররা বেশ কিছু দাবিতে স্যারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। আমরা সেসব দাবি নিয়ে কথা বলার আশ্বাস দিলে তারা সরে যায়।’



মন্তব্য চালু নেই