প্রিজাইডিং অফিসার নিজেই সিল মেরেছেন

ঢাকার দোহার উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের চরকোসাই ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার এরশাদ হোসেন ব্যালট পেপারে সিল মারার পর হাতেনাতে ধরা পড়েছেন। ধরা পড়ার পর ৫০-৬০টি ব্যালটে জাল ভোট দেয়ার কথা স্বীকারও করেছেন তিনি।

এ ঘটনার পর ওই ভোটকেন্দ্রে দুই মেম্বার প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছে। এতে দুজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- তালা প্রতীকের আসাদুজ্জামান আসাদ ও তার ভাই বজলুর রহমান।

বর্তমানে সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৮টায় প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। এদিন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চরকোসাই ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার নিজের কক্ষে বসে মোরগ প্রতীকের ইউপি সদস্য পদপ্রার্থীর পক্ষে সিল মারছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে তালা প্রতীকের প্রার্থীর লোকেরা গিয়ে বাধা দেয়। এতে সংঘর্ষ শুরু হয়।

পুলিশি পাহাড়ায় প্রিজাইডিং অফিসারকে তার কক্ষে তালাবদ্ধও করে রাখা হয় কিছুক্ষণ। এ সময় সাংবাদিকরা সেখানে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের বাধা দেয়া হয়। পরে সাংবাদিকরা ওই কক্ষে প্রবেশ করতে সমর্থ হলে দেখেন, প্রিজাইডিং অফিসারের টেবিলের নিচে অসংখ্য সিল মারা ব্যালটের মুরি। নৌকা প্রতীক সিল মারা ব্যালটও পাওয়া যায় তার টেবিলের নিচে।

সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসায় ৫০-৬০টি জাল ভোট মারার কথা স্বীকারও করেছেন তিনি। তবে কাদের চাপে, কেন তিনি জালভোট দিয়েছেন সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।



মন্তব্য চালু নেই