প্রেমিকার যে বিষয়গুলো অপ্রিয় হলেও মুখ বুজে সহ্য করা উচিত

সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে কে না চায়। একবার সম্পর্ক ভেঙে গেলে পরবর্তীতে ফিরে পাওয়া খুব কঠিন। সম্পর্কে ফাঁটল ধরার অন্যতম কারণ হলো মতের অমিল। মতে মিল না হলেই মন কষাকষি শুরু। কেউ কারো সঙ্গে মানিয়ে চলতে নারাজ।

ফলে বিচ্ছেদ। তবে প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে সামঞ্জস্য থাকলে ব্যাপারটা সহজেই মিটে যায়৷ কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ‘অপোজিট পোল’-এর প্রেম হয়। দেখা যায়, কিছুদিন পরই তাদের অধিকাংশ ‌‘অ্যাট্র্যাক্ট’ করার বদলে ‘রিট্র্যাক্ট’ হয়ে যে যার নিজের জায়গায় ফিরে আসে।

এর প্রধান কারণ, প্রেমিকের মনমর্জি ও প্রেমিকার মন না বোঝার গাফলতি। তাই সম্পর্ক মধুর করে তুলতে প্রেমিকার কয়েকটি ব্যাপার মেনে নিতেই হবে প্রেমিককে। তবেই প্রেমিকা প্রেমিকের মনমর্জিতে সায় দেবে। সে জন্য জেনে নিন প্রেমিকার কোন বিষয়গুলো মুখ বুজে সহ্য করা উচিত-

বিয়ে নিয়ে চাপাচাপি

অধিকাংশ পুরুষই প্রেম করার সময় মুহূর্তবাদী হয়ে যায়। খুব কম পুরুষ ভবিষ্যতের চিন্তা করে। কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একেবারেই উলটো। তারা প্রথম থেকেই প্রেমটাকে সিরিয়াসলি নিয়ে এগোয়। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করে। এর মূল কারণ মেয়েরা চায় নিরাপত্তা। এটাই স্বাভাবিক। যে কারণে সম্পর্কে দ্বিচারিতা করার প্রবণতা তাদের কম। তাই প্রেমিকা যদি বারবার বিয়ের জন্য জোরাজুরি করে তিতিবিরক্ত হবেন না। ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাপারটা মেনে নিন। প্রেমিকাকে দেয়া প্রতিশ্রুতি পালন করুন। আর আপনি যদি সম্পর্কটায় সিরিয়াস না হন, বিয়ের করার কোনো পরিকল্পনাই যদি না থাকে, আগে থেকেই সম্পর্কটা থেকে বেরিয়ে আসুন। প্রেমিকাকেও সেটা জানিয়ে দিন।

অতিরিক্ত প্রেম প্রেম ভাব

ছোটখাটো ব্যাপারে অভিমান। অল্পেই মন খারাপ। কথা বন্ধ করে ফুপিয়ে কান্নাকাটি। একেবারেই বিরক্তি প্রকাশ করবেন না। একজন পুরুষের চেয়ে একজন নারী অনেকবেশি আবেগপ্রবণ। তাই তাদের আবেগের বহিঃপ্রকাশও অতিরিক্ত বেশি। কষ্ট পেয়ে সে যদি বাক্যালাপ বন্ধ করে, এটা ভাবার কারণ নেই, যে সে সম্পর্ক চাইছে না। বরং তার উলটো। সে চাচ্ছে প্রেমিকের মনোযোগ। একটু মান, একটু অভিমান এর নামই তো নারী। হোক না বাড়াবাড়ি। তাতে প্রেম তো কমছে না। তাই মেনে নিন। শ্রী রাধিকার মানভঞ্জন করুন। দেখবেন, দ্বিগুণ ভালোবাসা ফিরে এসেছে।

পছন্দগুলো মেয়েলি

রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে বার্সেলোনার লা লিগা। অফিস থেকে সাত্তাড়াতাড়ি ফিরে দেখলেন প্রেমিকা কুছ কুছ হোতা হ্যায় চালিয়ে টিভিটা দখল করে রেখেছে। এ সময় রিমোটে হাত দেয়া মানে কান্নার রোল। মান অভিমান। তুমি আমাকে ভালোবাসো না ইত্যাদি। কিন্তু লা লিগাটাও তো জরুরি। এ সময় বুদ্ধি খরচ করুন। প্রেমিকার যদি অতি রোম্যান্টিক গান কিংবা সিনেমার প্রতি আগ্রহ থাকে আকাশছোঁয়া, আগে থেকেই ব্যবস্থা করে রাখুন। ল্যাপটপে রেখে দিন সিনেমাগুলো। লোড করে রাখুন প্রেমিকার পছন্দের গান। প্রিয় ম্যাচ দেখার আগে ল্যাপটপ অন করুন। চালিয়ে দিন প্রেমিকার প্রিয় সিনেমা। হালকা টোকা মেরে ডাকুন তাকে। অনুরোধ করুন ম্যাচ দেখা কতটা জরুরি। এটাও বোঝান তার জন্যই আপনি সিনেমাগুলো আগে থেকে রেখে দিয়েছেন, যাতে তাকে বঞ্চিত না হতে হয়। ব্যস, এই পন্থা অবলম্বন করে দেখুন। প্রেমিকা কিন্তু রাগ করার সুযোগই পাবে না। আপনার কেয়ার দেখে সে বিগলিত হবেই।

অঙ্গীকার পালন

ছেলেদের স্বভাবে কমিটমেন্ট ব্যাপারটা কমই থাকে। অন্যদিকে কমিটমেন্ট না থাকলে কোনও মেয়েই সম্পর্কে জড়াতে চায় না। এর অন্যথাও মেয়েরা মেনে নিতে পারে না। ফলে সম্পর্কে জড়ালে প্রেমিকার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকুন। মুখে এককথা বলে অন্যরকম আচরণ করার দিন এখন চলে গেছে। যে মেয়েকে প্রেমিকারূপে পেতে এককালে পরিশ্রম করেছিলেন৷ সেই প্রেমিকা কিন্তু একনিমেষে প্রত্যাখ্যান করতে পারে প্রেমে গাফিলতি দেখলে। তাই সাবধান, প্রমিস করলে সেটা পূরণ করতেই হবে আপনাকে!



মন্তব্য চালু নেই