প্রেমিকের কথায় ২ সন্তানকে হত্যা করেন মা

প্রেমিকের কথায় নিজের দুই সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ভোজেরগাতি গ্রামের জান্নাতুল ফেরদাউস কুলসুম।

শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম কুমার ঘোষের আদালতে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।

এলাকাবাসী জানান, কুলসুমের স্বামী ইউসুফ সরদার টুঙ্গীপাড়া উপজেলার গহওরডাঙ্গা মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন। চাকরি সুবাদে বেশিরভাগ সময়ই তিনি এলাকার বাইরে থাকেন। এ সুযোগে রানা নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন কুলসুম।

গোপালগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) আমিরুল ইসলাম জানান, কুলসুমের বাবা মাওলানা বেলাল মাদারীপুরের একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। গত বছর তিনি মারা যাওয়ার পর তার মোবাইল সিমটি কুলসুম ব্যবহার করতেন। গত ১৭ নভেম্বর রানা এক ব্যক্তি তার মোবাইলে ফোন করেন। পরবর্তীতেও তিনি কয়েক দফা ফোন করেন। এক পর্যায়ে তার সঙ্গে কুলসুম বেগমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

এএসপি আরও জানান, তবে কুলসুমের দুই সন্তান তাদের ভালোবাসার পরিণতিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। রানার কথামতো প্রেমের সফল পরিণতির জন্য দুই সন্তানকে হত্যা করেন বলেও আদালতে স্বীকার করেন কুলসুম। গত বৃহস্পতিবার রাতে একাধিক বার রানার সঙ্গে কুলসুমের কথা হয়। সর্বশেষ রাত ৮টা ১০ মিনিটে তাদের মধ্যে কথা হয়।

আদালতকে কুলসুম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে প্রথমে বড় ছেলে রায়হান সরদারকে (১০) হাত-পা বেঁধে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন। পরে ছোট ছেলে রইজ সরদারকে (৪) বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন তিনি।

এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে কুলসুমের স্বামী মাওলানা ইউসুফ সরদার বাদী হয়ে অজ্ঞাত দুই জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি থানায় রেকর্ড করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই