প্রেমিকের চুমুতে প্রেমিকার মৃত্যু

সেই ২০১২ সালের কথা। নাম তার মরিয়াম ডার্স লিমে, বয়স ২০। তিনি একজন কানাডিয়ান নাগরিক। কিছুদিন হল তার একটি নতুন প্রেমিক হয়েছে। বেশ ঘনিষ্ঠতা থাকার কারণে প্রায়ই সে তার বাসায় রাত কাটাতো। এদিকে মরিয়ামের মা এই ব্যাপারে অবহিত ছিল। সে মেয়ের চোখে প্রথমবারের মতো কারো জন্য ভালোবাসা দেখতে পান। তবে মেয়ের একটি খাদ্যদ্রব্যে এলার্জি ছিল। আর তা হলো বাদাম। তার এই এলার্জির ব্যাপারে মা সবসময় তার প্রেমিককে জানাতে বলেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কখনো সেটা জানানো হয়নি।

সেইদিন রাতটা কথা এমনভাবেই কাঁদেতে কাঁদতে বলছিলেন মরিয়ামের মা সংবাদমাধ্যম জার্ণাল দ্যা কিউবেককে। তার ভাষ্যমতে, ‘সেদিন রাতে সে তার প্রেমিককে নিয়ে খুব আনন্দ করতে করতে বাসায় ফিরেছিল। অনেক রাত পর্যন্ত তারা জেগে ছিল। সেই সময় তার প্রেমিক পীন্যাট বাটার স্যান্ডউইচ খেয়েছিল। এরপর সে মরিয়মকে চুমু দেয়। কিন্তু প্রেমিক তখন পর্যন্ত মরিয়মকে বলেনি যে সে পীন্যাট বাটার খেয়েছে আর মরিয়মও বলেনি যে তার বাদামে অ্যালার্জি আছে। অতঃপর মরিয়মের অবস্থা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রেমিক ৯১১ এ কল দিলে জরুরিভাবে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, খুব বেশি অ্যালার্জি সকের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

অনেকদিনের চাপা যন্ত্রনার কথা এভাবেই বলছিলেন মরিয়মের মা। তিনি আরো বলেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে যা হয়েছে আর কোন মেয়ের সঙ্গে যেন তা না হয় তাই এই ঘটনাটি সবার সামনে তুলে ধরলাম। তিনি বলেন, যদি কারো কোন খাদ্যদ্রব্যে অ্যালার্জি থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার নিকট কাউকে বলে রাখা উচিত। অন্যথায় এমন দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। তবে অ্যালার্জি জড়িত কারণে মৃত্যু দেশটিতে এই প্রথম নয়। এর আগেও ২০১৫ সালে একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী একজন ছেলেকে চুমু দিলে তারও মৃত্যু হয়। উল্লেখ্য যে, দেশটিতে অ্যাজমা এবং অ্যালার্জিতে অনেক মানুষের মুত্যু হয়।



মন্তব্য চালু নেই