‘প্রোডিউসার’-এর লালসার শিকার বলিউডি নবাগতা

বলিউডে কাজের সুযোগ করে দেওয়ার টোপ দিয়ে নাবাগত অভিনেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল আলতাফ মার্চেন্ট নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বছর বত্রিশের ওই অভিনেত্রীর কাছে বলিউড প্রোডিউসার বলে নিজের পরিচয় দিয়েছিল মার্চেন্ট। বেশ কয়েকটি কন্নড় ছবিতে অভিনয়ের পর, বলিউডে পা রাখতে চাইছিলেন ওই অভিনেত্রী। যে কারণে আলতাফ মার্চেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

এফআইআরে যুবতী জানান,আশরাফ মার্চেন্ট নামে এক কমন ফ্রেন্ডের সূত্রেই আলতাফের সঙ্গে তাঁর আলাপ। অভিযোগ, আলাপের পর তাঁকে একটাসময় জোর করে মাদকের নেশাও ধরিয়েছিলেন বছর পঞ্চান্নর মার্চেন্ট। ক্রমে তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। সেই নেশা ছাড়াতে তাঁকে রিহ্যাব সেন্টারে ভর্তি করতে হয়।

এফআইআর থেকে জানা যায়, ২০১৪-র ফেব্রুয়ারিতে ওই যুবতী প্রথমবার মার্চেন্টের বান্দ্রার বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে একটু অপ্রস্তুতই হয়েছিলেন। কারণ, বান্দ্রার ওই বাড়িতে তখন জমে উঠেছিল নেশার আড্ডা। বেশ কয়েক জন অল্পবয়সি ছেলেমেয়ে একসঙ্গে বসে নেশা করছিল। মধ্যমণি আলতাফ মার্চেন্ট।

যুবতীর বয়ান অনুযায়ী, ‘আমাকেও মাদক নেওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ব্যক্তি। অস্বীকার করলে, বলা হয়, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে গেলে, একটু আধটু নেশা করতেই হয়। এর পরেও রাজি না-হওয়ায়, চুলের মুঠি ধরে পাশের একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে, মুখে সাদা পাউডার ধরনের কিছু একটি দিয়ে দেয়।’ ওই নবাগতা অভিনেত্রীর ধারণা, সেটি ছিল কোকেন। সেদিন রাতে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলেও দাবি করেন ওই অভিনেত্রী।

যুবতীর বর্ণনা অনুযায়ী, ‘পরদিন সকালে যখন ওই বাড়ি থেকে বেরোলাম, মাথা ভার হয়ে ছিল। যৌনাঙ্গেও যন্ত্রণা হচ্ছিল। মার্চেন্ট একাই ধর্ষণ করেছিল, নাকি সঙ্গে আরও কেউ ছিল, সত্যি আমি জানি না। কারণ, ওই রাতে আমি আর হুঁশে ছিলাম না।’

এই ঘটনার পরেও ছ-মাস ধরেও ওই মেয়েটির ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন হয়েছে। এর মধ্যে মাদকাসক্তও হয়ে পড়েন যুবতী। অভিযোগ, তাঁকে দিয়ে জোর করে নোংরা সিডিও করানো হয়। প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝে এর পরই মুম্বই ছেড়ে সোজা চণ্ডীগড়ে নিজের বাড়িতে ফিরে যান। কিন্তু, বাড়ি ফিরেও স্বস্তি ছিল না। নিয়মিত ফোন করে ওই ব্যক্তি তাঁকে হুমকি দিত, মুম্বইয়ে না ফিরলে তাঁর অশ্লীল ছবি অনলাইনে ফাঁস করে দেওয়া হবে।

একটুও ভয় না পেয়ে বাড়িতে গোটা ঘটনার কথা জানান ওই অভিনেত্রী। পরিবারের পরামর্শেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর করার সিদ্ধান্ত নেন। রিহ্যাব সেন্টারে চিকিত্সা করিয়ে একটু সুস্থ হতেই মুম্বইয়ে এসে বান্দ্রা থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এফআইআরের পর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে বান্দ্রা থানার পুলিশ।-এইসময়



মন্তব্য চালু নেই