প্রয়োজন হলে তাৎক্ষণিক সেনাবাহিনী নামানো হবে : সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা বলেছেন, আসন্ন দুই উপনির্বাচন এবং কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে প্রয়োজন হলে তাৎক্ষণিকভাবে সেনাবাহিনী নামানো হবে। আর এসব নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থার ক্ষেত্র তৈরি হবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সিইসি।

এর আগে গাইবান্ধা-১, সুনামগঞ্জ-২ শূন্য আসন ও কুমিল্লা সিটি নির্বাচন নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি বলেন, আপাতত সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। তবে তারা সব সময় প্রস্তুত থাকবেন। প্রয়োজন হলে তাদের তাৎক্ষণিক নামানো হবে।

নুরুল হুদা বলেন, আমাদের দেশে একসঙ্গে ৩০০ আসনের নির্বাচনও সুষ্ঠু হওয়ার নজির রয়েছে। তাই মাত্র দু-তিনটি নির্বাচনে আশঙ্কার কিছু নেই। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন তারপর নিরাপদে বাড়ি যেতে পারেন এবং বাড়িতে গিয়ে নিরাপদে থাকতে পারেন বৈঠকে এ বিষয়ে কথা হয়েছে।

সিইসি আরো বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাচনী দায়িত্ব পালনরত কেউ অনিয়ম করবেন না। আর করলে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বৈঠকে জঙ্গি হামলা বা নাশকতার বিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কথা হয়েছে। বিশেষ করে এ বিষয়ে আমরা সুন্দরগঞ্জ নিয়ে বেশি সতর্ক থাকবো।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী থেকে আমাদের সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে বলে বৈঠকে জানানো হয়েছে। বৈঠকে অংশ নেয়া কর্মকর্তারা বলেছেন, এ নির্বাচন কমিশনের ওপর যেন আস্থার ক্ষেত্র তৈরি হয় সেভাবে কাজ করবেন তারা।



মন্তব্য চালু নেই