পড়তে পারেন আয়ারল্যান্ডে

রবিউল কমল: উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য আয়ারল্যান্ড দিন দিন আমাদের দেশের শিক্ষার্থীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আইরিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বর্তমানে ব্যাপকসংখ্যক বাংলাদেশী শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে। আয়ারল্যান্ডে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিম্নলিখিত ডিগ্রীগুলো প্রদান করে থাকে: ব্যাচেলর, মাষ্টার্স, উচ্চতর ডিপোমা, পিএইচডি।

সেমিস্টার : ফল সেমিষ্টার, স্প্রিং সেমিষ্টার।

কিভাবে আবেদন করবেন : আপনি সরাসরি পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশন অফিসে যোগাযোগ করে ভর্তি ফরম ও অন্যান্য বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকেও আবেদন ফর্মটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন। কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপনাকে ভর্তি সংক্রান্ত সব তথ্য সরবরাহ করবে। আপনাকে অন্তত ১ বৎসর সময় হাতে রেখে ভর্তির প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। আবেদনপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ থেকে ৬-৮ মাসের মধ্যে কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিবেন।

বিভিন্ন কোর্সের শিক্ষাগত ও ভাষাগত যোগ্যতা এবং মেয়াদ নিম্নে দেয়া হলো :
কোর্সের নাম : ব্যাচেলর, মাষ্টাস, পিএইচডি মাষ্টার্স/এম.ফিল। শিক্ষাগত যোগ্যতা : ১২ বৎসরের শিক্ষা সমাপন ও ১৬ বৎসরের শিক্ষা সমাপন। ভাষাগত যোগ্যতা : আইইএলটিএস ৫.৫-৬ ও আইইএলটিএস ৬-৬.৫। কোর্সের মেয়াদ : ৩-৪ বৎসর পূর্ণকালীন শিক্ষা, ১-৩ বৎসর পূর্ণকালীন শিক্ষা, ৩-৫ বৎসর পূর্ণকালীন শিক্ষা।

বিষয়সমূহ : আয়ারল্যান্ড নিম্নের বিষয়গুলো থেকে আপনি আপনার পছন্দের বিষয় বেছে নিতে পারেন। একাউনট্যান্সি, এবরোজিনাল এন্ড ইনডিজিনাস স্টাডি, অলটারনেটিভ মেডিসিন, এনথ্রপলজি, অ্যাপায়েড ম্যাথমেটিকস, একুয়াকালচার, কেমিষ্ট্রি, এনভায়রোনমেন্টাল স্টাডিজ, বিজনেস এন্ড ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র : পূরণকৃত আবেদন ফরম, সকল পরীক্ষা পাসের সদনপত্র ও মার্কশীটের ফটোকপি, স্কুল/কলেজের ছাড়পত্র, আবেদন ফরমের মূল্য পরিশোধের রসিদ, ইংরেজী ভাষায় দক্ষতার প্রমাণপত্র, স্পন্সর কর্তৃক আর্থিক সচ্ছলতার গ্যারান্টিপত্র, পাসপোর্টের ফটোকপি।

কাজের সুযোগ : নন ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশগুলোর ছাত্রছাত্রীদের জন্য আয়ারল্যান্ডে কাজের সুযোগ রয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকাকালীন সময়ে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা এবং বন্ধের সময় সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজ করতে পারে।



মন্তব্য চালু নেই