ফরিদপুরের আ.লীগের দু-গ্রুপের সংঘর্ষে আহত-২০

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নওপাড়া গজারিয়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় ৩ ঘন্টার সংঘর্ষে ১৫টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। আহত হয় কমপক্ষে ২০ জন। এসময় ভ্রাম্যমান আদালত ৪জনকে ১ বছর করে বিনাশ্রম কারদন্ড প্রদান করেন।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গজারিয়া গ্রামের অর্ধেক ভাঙ্গা পৌরসভার মধ্যে ও বাকী অর্ধেক হামিরদী ইউনিয়নের মধ্যে। এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবৎ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজ্জাক ফকিরের সাথে ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সাংসদের অনুসারী নুর মোহাম্মাদ এর বিরোধ চলছে। গত কয়েকমাসে বেশ কয়েকবার দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে দুই গ্রুপের সমর্থকরা ঢাল-সড়কীসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ৯টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলতে থাকে। এসময় ১৫টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। আহত হয় কমপক্ষে ২০ জন। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘন্টাখানেক চেষ্টা চালিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে।

অপরদিকে সংঘর্ষ চলাকালে মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ভাঙ্গা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) পূরবী গোলদার। তিনি দাঙ্গা হাঙ্গামায় লিপ্ত থাকার অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে দুই পক্ষের ৪জনের প্রত্যেককে ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। এরা হল গজারিয়া গ্রামের দেলোয়ার ফকির (৪৮), মানিক (৩৫), আনোয়ার ফকির (৩৫), নুর মোহাম্মদ (৩৮)।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, যে ৪জনকে ভ্রাম্যমান আদালত সাজা দিয়েছে এর মধ্যে একপক্ষের দলনেতা রাজ্জাক ফকিরের ভাই আনোয়ার ফকির ও অপরপক্ষের দলনেতা নুর মোহাম্মাদ রয়েছে। আধিপত্য ও প্রতিপত্তি বিস্তারই এই সংঘর্ষের মূল কারন।

নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পূরবী গোলদার বলেন, দাঙ্গা হাঙ্গামায় লিপ্ত থাকার কারনে দন্ডবিধি ১৮৬০(১৪৭) ধারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এদেরকে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই