ফাঁসি থেকে বাঁচলো ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ জোসেফ

ব্যবসায়ী মোস্তফা হত্যা মামলায় নব্বইয়ের দশকের আলোচিত ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ তোফায়েল আহমেদ জোসেফের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে মামলার আরেক আসামি যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত কাবিল সরকারকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

বুধবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আসামি পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এসএম শাহজাহান।

১৯৯৬ সালে রাজধানীর লালমাটিয়ায় ব্যবসায়ী মোস্তফা নামে ফ্রিডম পার্টির এক নেতাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে এই মামলা হয়েছিল।

এ মামলায় বিচারিক আদালত ২০০৪ সালে জোসেফ ও মাসুদ জমাদারকে মৃত্যুদণ্ড এবং কাবিল সরকার, হারিস আহমেদ ও আনিস আহমেদ নামে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। হারিস ও আনিস পলাতক থাকায় তারা হাইকোর্টে আবেদন করেননি।

তবে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করলে ২০০৭ সালের ২০ সেপ্টেম্বর মাসুদ জমাদারকে খালাস দিয়ে জোসেফ ও কাবিলের রায় বহাল রাখা হয়।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জোসেফ ও কাবিল আপিলে যাওয়ার পর বুধবার এ রায় দেন আদালত।

প্রসঙ্গত, বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ওয়াদুদ আহমেদের ছোট ছেলে তোফায়েল আহমেদ জোসেফের বড় ভাই হারিস আহমেদের নামও রয়েছে পুলিশের শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায়। হারিস বর্তমানে ভারতে পালিয়ে আছেন বলে ধারণা করা হয়।

নব্বইয়ের দশকে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন তাদের আরেক ভাই সাঈদ আহমেদ টিপু।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে জোসেফের বড় ভাই হারিস আহমেদ নিজেকে মোহাম্মদপুর এলাকায় জাতীয় পার্টির নেতা হিসেবে পরিচয় দিতেন। এরশাদ সরকারের পতনের পর তিনি নিজের পরিচয় দিতে শুরু করেন মোহাম্মদপুর থানা যুবলীগের নেতা হিসাবে। ঢাকার ৪৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কমিশনার পদে নির্বাচনও করেছিলেন তিনি। জোসেফও এক সময় নিজেকে ছাত্রলীগের মোহাম্মদপুর থানার নেতা হিসেবে দাবি করতেন।



মন্তব্য চালু নেই