ফাঁসি দেয়া যাবে মুফতি হান্নানকে

চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সিলেটে তৎকালীন ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনায় মুফতি হান্নানসহ তিনজনকে ফাঁসি দেয়া যাবে। এমনটাই নিশ্চিত করেছেন হাইকোর্ট।

আজ বৃহস্পতিবার নিম্ন আদালতের দেয়া ফাঁসির রায় কার্যকরের বিষয়টি নিশ্চিত করে ১৬৭ পৃষ্টার রায় প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।

এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনিরুজ্জামান কবির বলেন, ‘এ আসামিদের ফাঁসিতে ঝুলাতে আর কোনো বাধা নেই। যদি না তারা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে।’

এদিকে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখে এ রায় দেন। এর আগে বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনকে ফাঁসির সাজা দেন।

একইসঙ্গে মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ এবং মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালাল (রা.) এর মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা করা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রশাসকসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হয়।

ঘটনার দিন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৩১ জুলাই মুফতি হান্নানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর সম্পূরক অভিযোগপত্র দিয়ে মাঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালের নামও অন্তর্ভুক্ত করে আবার অভিযোগ গঠন করা হয়।

নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নথি নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালতে হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি ২০০৯ সালে এ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা আপিলও করেন। দীর্ঘ ৭ বছর পর গত ৬ জানুয়ারি এ মামলায় হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়।



মন্তব্য চালু নেই