ফেনী বিএনপির সদস্য পদ ছাড়তে পারেন খালেদা জিয়া

ফেনী জেলা কমিটির সদস্য পদ ছেড়ে দিতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। জাতীয় সম্মেলনে বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ‘এক নেতার এক পদ’ নীতি কার্যকর হতে যাচ্ছে। ফলে দলের কোনো নেতা একাধিক পদে থাকতে পারবেন না। এক্ষেত্রে নতুন নেতৃত্ব বিকশিত হবে বলে মনে করছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।

দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মারা যাওয়ার পর দলের হাল ধরেন খালেদা জিয়া। তিনি ১৯৮২ সালে বিএনপিতে যোগ দিয়ে ৮৩ সালে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হন। এরপর ১৯৮৪ সালে পার্টির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন তিনি। এরপর থেকে নানা চড়াই উতরাই এর মধ্য দিয়ে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন বেগম জিয়া।

তিনবারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিএনপির প্রধানও নির্বাচিত হন একাধিকবার। এক নেতা দলের একাধিক পদে থাকায় নেতৃত্ব বিকাশ এমনকি সংগঠন পরিচালনায় ব্যাঘাত হওয়ায় বিষয়টি দলের অভ্যন্তরে আলোচনায় থাকলেও সদ্য অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে ‘এক নেতার এক পদ’ বিষয়টি ফের উঠে আসে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহাসচিব নির্বাচিত হওয়ার পর জাতীয়তাবাদী কৃষক দল ও ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতির পদ ছেড়ে দেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র জানায়, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে পৈত্রিক এলাকা ফেনী-১ (পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন খালেদা জিয়া। ২০১০ সালে চেয়ারপারসনের ছোট ভাই মেজর (অব.) সাঈদ এস্কান্দারকে সভাপতি ও জিয়াউদ্দিন আহমদ মিষ্টারকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটির অনুমোদন দেন সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন।

কমিটির ১নং সদস্য হন খালেদা জিয়া। ৬৭জন সদস্যের তালিকায় যথাক্রমে রয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, শিল্পপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু, সাবেক কৃষকদল সভাপতি মাহবুবুল আলম তারা ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জয়নাল আবদীন ভিপি। এদের মধ্যে মোশাররফ হোসেন ও মাহবুবুল আলম তারা ইন্তেকাল করেছেন।

এক নেতার এক পদের বিষয়টি কার্যকরের ব্যাখ্যা হিসেবে দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, এখন থেকে থানা ও জেলা সভাপতি সাধারণ সম্পাদক অন্য কমিটিতে থাকতে পারবেন না। আবার স্থায়ী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদে যারা থাকবেন, তারাও অন্য কোনো পদ পাবেন না। তবে প্রয়োজন বোধে চেয়ারপারসন কাউকে সাময়িক সময়ের জন্য একাধিক পদে দায়িত্ব দিতে পারবেন।

এ ব্যাপারে ফেনী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন আহমদ মিষ্টার জানান, ম্যাডাম জেলা বিএনপির এক নম্বর সম্মানীত সদস্য। তিনি দলের চেয়ারপারসন ফেনীর আহঙ্কার। তিনি এ পদ ছাড়বেন কিনা সে বিষয়ে তার কিছু জানা নেই।



মন্তব্য চালু নেই