ফের আলোচনায় আবুল হোসেন

আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদকে ঘিরে ফের আলোচনায় এসেছেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। তিনি এ পদে আগে দুইবার দায়িত্ব পালন করেছেন।

গত ২২-২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত দলটির ২০তম জাতীয় সম্মেলনের পর ৬ দফায় ৭৬ জন নেতার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ৮১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটিতে সভাপতিমণ্ডলীর তিনটি ও এক সদস্যপদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদটি এখনো খালি।

একাধিক দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দলীয়প্রধান শেখ হাসিনার বিবেচনায় রয়েছেন সাবেক এই যোগাযোগমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে বিকল্প কারো নাম এখনো আলোচনায় আসেনি। দলে স্থান না পেলেও সরকারের মন্ত্রিসভায় যুক্ত হতে পারেন সৈয়দ আবুল হোসেন।
১৯৯২ সালে মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের হাল ধরে দলে আসেন ব্যবসায়ী সৈয়দ আবুল হোসেন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই সরকারের স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি।

২০০১ সালের নির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন সৈয়দ আবুল হোসেন। পরে ২০০২ সালে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মাদারীপুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচন হন। মহাজোট সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পান তিনি।

২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ১৮তম জাতীয় সম্মেলনে আবারো দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগে ২০১২ সালের ২৩ জুলাই মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।

২০১৩ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য থাকলেও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি সৈয়দ আবুল হোসেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় অনেকটাই আলোচনার বাইরে ছিলেন সাবেক এই যোগাযোগমন্ত্রী।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর কয়েকজন সদস্য বলেছেন, ‘পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগ যেহেতু প্রমাণ হয়নি, সেহেতু সৈয়দ আবুল হোসেন নির্দোষ। আর সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করছে। এখন আওয়ামী লীগে বা সরকারে সৈয়দ আবুল হোসেনকে ফিরিয়ে আনা না হলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে না। তাই আমাদের দলীয় প্রধানের পছন্দের তালিকায় সৈয়দ আবুল হোসেনের নাম রয়েছে।’



মন্তব্য চালু নেই