ফের ৫ দিনের রিমান্ডে শফিক রেহমান

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদুল হাসান এ রিমান্ডের আদেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শফিক রেহমানকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির এএসপি হাসান আরাফাত। বিকেল ৩টায় রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি হয়।

রাজধানীর ইস্কাটনের নিজ বাসা থেকে গত ১৬ এপ্রিল সকালে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।ওই দিনই তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে ডিবি পুলিশ। শুনানি শেষে তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

২০১৫ সালের আগস্ট রাজধানীর পল্টন থানায় করা জয়কে অপহরণ ও হত্যা পরিকল্পনা মামলার তদন্তে শফিক রেহমানের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জাসাসের সহ-সভাপতি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন এবং দেশে ও দেশের বাইরে অবস্থানরত বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতারা জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র করে। প্রাপ্ত তথ্যসমূহ পর্যালোচনা করে সন্দেহ করা হচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশসহ বিশ্বের যেকোনো দেশে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্ব সজীব ওয়াজেদ জয়ের জীবননাশসহ যেকোনো ধরনের ক্ষতির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে বিএনপির হাই কমান্ড দেশ ও দেশের বাইরে থেকে অর্থায়ন করে।

২০১৫ সালের ৪ আগস্ট ডিবির পরিদর্শক ফজলুর রহমান এ বিষয়ে পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন, যা পরে মামলায় রূপান্তরিত হয়। শফিক রেহমানকে ওই মামলাতেই গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

২০১৫ সালে এফবিআইকে ঘুষ দেওয়ায় রিজভী আহমেদ সিজারকে ৪২ মাসের কারাদণ্ড দেয় মার্কিন আদালত। বাংলাদেশি এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সংরক্ষিত তথ্য পেতে ২০১১ সালে এফবিআইয়ের স্পেশাল এজেন্ট রবার্ট লাস্টিককে ঘুষ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশি ওই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম মার্কিন আদালতের নথিপত্রে উহ্য রাখা হলেও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জয়ই সেই ব্যক্তি বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই