ফেল্পসের শরীরে ওই লাল দাগ কীসের? প্রেমিকার কামড় নয় তো?

মাইকেল ফেল্পসের শরীরে গোল লাল দাগ কেন? ওগুলো কী?

শুধু বিশ্বখ্যাত সাঁতারু ফেল্পস নন, এবারের রিও অলিম্পিক্সে একাধিক অ্যাথলিটের শরীরেই লাল রংয়ের গোল দাগ দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাথলিট ও জিমন্যাস্টদের শরীরেই এই দাগ বেশি করে দেখা যাচ্ছে। রহস্যময় এই দাগগুলো কী? তা নিয়ে চলছে জোর জল্পনা। তবে কি বান্ধবী বা প্রেমিকার ভালবাসার কামড়ে ফেল্পসের শরীরে তৈরি হয়েছে লাল দাগ?

খবরের ভিতরকার খবর বলছে অন্য কথা। এর সঙ্গে বান্ধবী বা প্রেমিকার কামড়ের কোনও সম্পর্কই নেই। চিকিৎসাশাস্ত্রের পরিভাষায় একে ‘কাপিং’ বলা হচ্ছে। অ্যাথলিটরা তাঁদের শরীরে গরম কাপ বসাচ্ছেন স্বস্তি পাওয়ার জন্য, আরামের জন্য। আসলে ঘটনা হল, কাপিং হল আকুপাংচারেরই আর একটা ধরন।

অলিম্পিয়ানরা কেন এই পদ্ধতি অবলম্বন করছেন? অ্যাথলিটরাই জবাবটা দিচ্ছেন। ক্রমাগত অনুশীলন করলে শরীরের পেশি ফুলে যায়, ব্যথা অনুভব করতে শুরু করেন অ্যাথলিটরা। ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যই এখন কাপিং করাচ্ছেন অ্যাথলিটরা। কাপিং ছাড়াও শরীরকে চাঙ্গা করে তোলার একাধিক উপায় রয়েছে। ম্যাসাজ, আইস বাথ করতেই পারেন অ্যাথলিটরা।

কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিমন্যাস্ট অ্যালেক্স বলছেন, ‘‘অন্যান্য পদ্ধতিও আমি অবলম্বন করে দেখেছি। কাপিং সবথেকে ভাল।’’ কাপিংয়ের দ্বারা নাদদোর-এর মতো জিমন্যাস্টের শরীরের ব্যথা দূর হয়েছে। রবিবারের ইভেন্টে নামার সময়ে মাইকেল ফেল্পসের উন্মুক্ত শরীরে লাল গোল দাগ দেখা গিয়েছে।

আর এই দাগ দেখে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। উঠেছে প্রশ্নের ঝড়। কৌতূহল বেড়ে গিয়েছে ভক্তদের মধ্যে। আসলে এটা আকুপাংচারেরই আর একটা ধরন।



মন্তব্য চালু নেই