ফেসবুকবন্ধুকে কিডনি দান!

ফেসবুকের মাধ্যমে অনেক অপরিচিত ব্যক্তির সাথেই পরিচয় হয়। ফেসবুকে যারা থাকেন তাদের ফেসবুকের ভাষায় বন্ধুই বলে। আসলে তারা কি বন্ধু?

অনেকেই হয়তো বলবেন ফেসবুকের একজন ব্যক্তি তার প্রোফাইলে পাঁচ হাজার জনকে বন্ধু বানাতে পারেন। তাহলেই সবাই কি বন্ধু? একজনের কি এতজন বন্ধু থাকা সম্ভব? ফেসবুক বন্ধুরা কি বিপদে পড়লে কেউ এগিয়ে আসে?

কিন্তু সব প্রশ্ন ছাপিয়ে সম্পূর্ণ অপরিচিত এক ফেসবুক বন্ধুকে কিডনি দান করে আলোচনার শীর্ষে চলে এসেছেন ব্রিটেনের এক নারী।

দুই সন্তানের মা লুইস ড্রিউয়েরি প্রথম কোনো ব্রিটিশ নাগরিক, যিনি ফেসবুকের সম্পূর্ণ অপরিচিত একজনকে নিজের কিডনি দান করলেন।

স্টেসি হিউইট নামে এক মেয়ের বাবা ফেসবুকে অসহায়ভাবে আবেদন করে লিখেছিলেন, কেউ কি তাঁর মেয়েকে কিডনি দান করে বাঁচাবে?

ফেসবুকে ওই পোস্টটি পড়ে আর এক মুহূর্তও ভাবেননি দুই সন্তানের মা লুইস ড্রিউয়েরি। ব্যাস, রাজি যখন দুই পক্ষই, তাহলে আর সময় নষ্ট করে টেনশনে থাকা কেন। নিউক্যাসল কিডনি প্রতিস্থাপন কেন্দ্রে সফল একটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কিডনি দান করলেন তিনি। এখন দুজনই সুস্থ রয়েছেন।

লুইস ড্রিউয়েরি মজা করে বলেছেন, স্ট্রেসির সঙ্গে চিরজীবনের সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেল।

গোটা ব্রিটেন তো বটেই, গোটা পৃথিবী শুভেচ্ছা জানাচ্ছে লুইস ড্রিউয়েরিকে। সত্যিই তাঁর মতো করে ক’জন ভাবেন?



মন্তব্য চালু নেই