ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট না রাখায় আমরণ অনশন!

টেকি প্রজন্মের তরুণদের প্রতিবাদের ধরনও ভিন্নতর। তবে দাবি দাওয়া কিন্তু একই। ফেসবুকে বন্ধুত্ব করতে গিয়ে একে ওকে নিত্যদিন ফেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হচ্ছে। সেসবের সবগুলো যে অ্যাকসেপ্ট হচ্ছে তাও নয়। কিছু রিকোয়েস্ট ডিলেটের খাতায় কিংবা স্প্যামের খাতায় যোগ হচ্ছে। তাই বলে আমরণ অনশন করতে হবে?

ফেসবুকে মেয়ে বন্ধুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানোর পর রিকোয়েস্ট না রাখায় আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়ে তিন না খেয়ে ছিলেন এক তরুণ। তার নাম মাইক হর্ন। থাকেন ক্যালিফর্নিয়ায়।

মাইকের খুব পছন্দ তারই স্কুলে পড়া লুসি নামের এক মেয়েকে। মাইক এমনিতে লাজুক প্রকৃতির। তাই সে সেইভাবে কথা বলতে পারে না লুসির সঙ্গে। তাই মাইক চেয়েছিল লুসির সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধুত্ব পাতাবে।

কিন্তু বিধি বাম। বারবার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো সত্ত্বেও লুসি অ্যাকসেপ্ট করেনি। এরপরই আমরণ অনশন করার সিদ্ধান্ত ফেসবুকে ঘোষণা করে মাইক।

প্রথমটায় মাইকের এই ঘোষণা কেউ সেভাবে পাত্তা দেয়নি। কিন্তু একদিন, দু’ দিন, তিনদিন পেরিয়ে যাওয়ার পর ব্যাপরটায় সবার নজরে যায়। মাইক রাস্তার ধারে বসে না খেয়ে দিনরাত কাটাচ্ছে, তার সামনে শুধু একটা ল্যাপটপ।

এদিকে এই ঘটনায় মাইকের ফেসবুকে বন্ধুর সংখ্যা লাফিয়ে অনেকটা বেড়ে গেল। মাইকের পাশে থাকতে অনেকেই চলে এলো অনশন মঞ্চে।

শেষ অবধি অবশ্য চারদিনের মাথায় দাবি আদায় হল। লুসি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করল। হাসি মুখে জুস মুখে দিয়ে অনশন ভাঙল মাইক।



মন্তব্য চালু নেই