ফেসবুক যেন পতিতালয় : শামীমা মিতু

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে অনেকেই পতিতালয় মনে করেন বলে মন্তব্য করেছেন সুইডেনে স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকা ব্লগার শামীমা মিতু। তিনি বলেছেন, ‘মাঝে মাঝে ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হয় এরা যেন ফেসবুককে পতিতালয় মনে করে।’

সম্প্রতি ডয়েচেভেলে বাংলায় দেয়া এক সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন আলোচিত এই ব্লগার।

ফেসবুকে অনেকের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করলেও বাকস্বাধীনতা চর্চায় এটাকে সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম মানে করেন ব্লগার মিতু। সুইডেনে স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকা এই ব্লগার মনে করেন, নির্যাতন থেকে বাঁচতে চাইলে নারীকে আরো মুখ খুলতে হবে।

আস্তে আস্তে সহযোগীদের হারাতে হয়েছে উল্লেখ করে মিতু বলেন, ‘আমি আমার কাছের মানুষগুলোকে হারালাম। খুব ‘সর্ট টাইমে’ (অল্প সময়ে)। যেমন ওয়াসিকুর বাবু ও আমার ছোট ভাইয়ের মত ছিলো তারপর নিলয়, অনেক কাছের মানুষ ছিলো।’

শামীমা মিতু শাহবাগের গণজাগরন মঞ্চের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। সেই সাথে তিনি একজন ব্লগারও বটে। এ জন্য তাকে বারবারই প্রাণনাশের হুমকিতে পড়তে হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওদের যেভাবে খুন হতে দেখলাম…। তারপর একের পর এক হুমকি… এবার তোর পালা।’

মিতু নারীবাদী আন্দোলনের এক জন সক্রিয় কর্মী। বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের হার বাড়ার কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি যতই মুখ খুলবেন ততই আপনার সামনে এসব আসবে (নির্যাতন)।’

এ জন্য তাদের মনে ভয় ধরিয়ে দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘না আমি একটা মেয়েকে গোপনে কিছু করলাম, নির্যাতন করলাম। কিন্তু তাতে পার পাবো না।’ তাহলে এ নারী নির্যাতন কমে আসবে বলে মনে করেন এই ব্লগার।

ফেসবুক পোস্ট নিয়ে তিনি বলেন, ‘মাঝে মাঝে প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হয়। এরা যেন ফেসবুককে পতিতালয় মনে করে। আমার মতের সাথে তাদের মতামত না মিললে চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করে।’

বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শামীমা মিতু বলেন, ‘গণমাধ্যমের কাজ হলো মানুষের কাছে তথ্য দিয়ে। কোন এক সমস্যা থেকে বের করে নিয়ে আসা। কিন্তু বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমগুলো এসব কাজ করে না। সেক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভালো ভূমিকা পালন করছে।’

দেশে ফেরার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘দেশে ফিরতে কে না চায়। বিদেশের মাটিতে কে থাকতে চায়। যেহতু জীবনের ভয়ে পালানো, ভয়টা কেটে গেলে দেশে ফিরবো।’

আলোচিত ব্লগার শামীমা মিতু গত বছর সুইডেনের গডল্যান্ড দ্বীপে স্বেচ্ছানির্বাসনে যান।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন



মন্তব্য চালু নেই