ফ্রান্স ফেবারিট, তবে জিতব আমরাই : রোনালদো

দীর্ঘ এক যুগ পর ইউরোর ফাইনালে উঠেছে পর্তুগাল। ২০০৪ সালে ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেও শিরোপায় চুমু আঁকা হয়নি পর্তুগিজদের। স্বাগতিকদের চোখের সামনে ১-০ গোলের জয়ে শিরোপা উল্লাস করেছিল গ্রীস। রোনালদো তখন বয়সে তরুণ। হতাশ চোখে দেখেছিলেন বিজয়ীদের আনন্দ।

১২ বছর পর সেই রোনালদো এখন পর্তুগালের অধিনায়ক, দলের প্রাণভোমরাও। দলও উঠেছে ফাইনালে। রোববার যেখানে তাদের মোকাবেলা করতে হবে স্বাগতিক ফ্রান্সকে। যারা ধারে ভারে পর্তুগালের চেয়ে অনেক এগিয়ে। সেমি ফাইনালে ফুটবলের পাওয়ার হাউজ জার্মানিকে হারিয়ে ফাইনালে উঠা ফ্রান্সকে অনেকেই ফেবারিট মানছেন। এর বাইরে নেন পর্তুগালের অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোও। ফাইনালে তিনিও ফেবারিট মানছেন ফ্রান্সকে। তবে এর সঙ্গে এও বলেছেন, জিতবে তারাই। প্রথমবারের মতো শিরোপা উল্লাস করবে পর্তুগিজ শিবিরই।

ক্লাব লেভেলে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে অনেক ট্রফিই জিতেছেন রোনালদো। তবে মেসির মতো তিনিও এখন জাতীয় দলের হয়ে ব্যর্থ। জিততে পারেননি কোন ট্রফি। সেই হতাশা আর আক্ষেপ এবার দূর করতে মরিয়া সিআরসেভেন। কন্ঠে তার দৃঢ় প্রত্যয়, ‘ফাইনালে উঠা অবশ্যই বিশেষ কিছু। আমি সব সময়ই স্বপ্ন দেখেছি জাতীয় দলের হয়ে কিছু জিততে। ক্লাব পর্যায়ে কিংবা ব্যক্তিগতভাবে অনেক কিছুই জিতেছি আমি। তবে পর্তুগিজ টিমের হয়ে কিছু জেতা সেটা হবে অনন্য অর্জন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি সেটা সম্ভব। আমার কলিগ এমনকি গোটা পর্তুগালও তাই মনে করে। আমরা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতেই আগাচ্ছি। বিশ্বাস করি রোববারই প্রথমবারের মতো মেজর কোন ট্রফি জিতবে পর্তুগাল। যদিও এই ম্যাচে ফ্রান্সই ফেবারিট। তবে আশা করি জিতব আমরাই’।

মহাদেশীয় কিংবা বৈশ্বিক, কোন জায়গাতেই শিরোপার দেখা পায়নি পর্তুগাল। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ সেমিফাইনাল। আর ইউরোতে ২০০৪ সালে ফাইনালে হেরে রানার্স আপ। এবার রোনালদোর ছোয়ায় পাল্টে যাবে পর্তুগালের ইতিহাস?



মন্তব্য চালু নেই