ফ্লাইওভারের মুখে যানজট, পরিকল্পনা ত্রুটি খুঁজতে কমিটি

নকশাসহ পরিকল্পনায় ত্রুটির কারণে রাজধানীর ফ্লাইওভারগুলোর মুখে অবর্ণনীয় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে প্রতিনিয়ত জনভোগান্তি বাড়ছে। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। কমিটির বৈঠকে নির্মাণাধীন মগবাজার মালিবাগ ফ্লাইওভারের পরিকল্পনায় কোনো ত্রুটি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির সদস্য মো. তাজুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে গঠিত সাব কমিটির সদস্যরা হলেন- সামশুল হক চৌধুরী ও মুহিবুর রহমান মানিক।

সাব কমিটিকে ফ্লাইওভারের পরিকল্পনায় কোনো ত্রুটি ছিল কি না, থাকলে তার জন্য দায়ী কারা তা চিহ্নিত করে আগামী এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

কমিটি সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটি সদস্য পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কর্নেল (অব.) শওকত আলী, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম (বীর উত্তম), মো. তাজুল ইসলাম ও নিলুফার জাফর উল্লাহ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে জানানো হয়, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের এডিপি’তে পরিকল্পনা বিভাগের ৬টি, পরিকল্পনা কমিশনের ১১টি, আইএমইডি’র ৪টি এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১০টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। রেলওয়ে মহাপরিকল্পনার আওতায় জুলাই ২০১০ হতে জুন ২০৩০ সাল পর্যন্ত ২০ বছরে ৪টি পর্যায়ে ২৩৫টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের এডিপিতে রেলওয়ের ৩৪টি বিনিয়োগ প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত আছে।

বৈঠকে কর্মদক্ষতা অর্জন ও তা প্রয়োগের সুবিধার্থে প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্মকর্তা যে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন তাকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পদায়ন রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া বৈঠকে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাকে আরো গতিশীল করতে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ এবং যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

গতকাল ৩০ মার্চ এই মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের একাংশ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এরপর থেকেই এ এলাকায় যানজট বেড়েছে।

২০০৪ সালে পরিকল্পনা করার পর ২০১৩ সালে এই ফ্লাইওভারের কাজের বাস্তবায়ন শুরু হয়। এখনো সম্পূর্ণ শেষ হয়নি। ফ্লাইওভারটির নির্মাণ কাজ তিনটি ভাগে সম্পন্ন হচ্ছে। একটিতে রয়েছে সাতরাস্তা-মগবাজার-হলি ফ্যামিলি পর্যন্ত অংশ। আরেকটিতে রয়েছে শান্তিনগর-মালিবাগ-রাজারবাগের অংশ এবং শেষ অংশটি বাংলামটর-মগবাজার-মৌচাক এলাকা।



মন্তব্য চালু নেই