ফ্লাইটে যে সুবিধাগুলো পাবেন বিনামূল্যেই

আপনি যদি বিমানে চড়ে অভ্যস্ত হন তাহলে বিমানে কী কী সুবিধা দেওয়া হয় এবং কী কী দেওয়া হয় না তা আপনি জানেন। কিন্তু আপনি যদি নতুন হন তাহলে অনেক কিছুতেই হয়ত আপনি সংকোচ করছেন, ভাবছেন কীভাবে কী করবেন, এই সুবিধা পাওয়া যায় কি যায় না! শান্ত হোন। বিমানযাত্রায় এমন অনেককিছুই মনে হয় চাওয়া নিষেধ, কিন্তু যা আসলে আপনার শুধু প্রাপ্য নয়, এমনকি পাওয়ার কথা বিনামূল্যে! আসুন জেনে নিই এই সেবাগুলোর কথা-

ককপিট ট্যুর
অদ্ভুত মনে হলেও সত্যি, ককপিট ট্যুর সম্ভব। জ্বী, আপনি এতদিন ভুল ভেবেছেন। অনেক পাইলটই ল্যান্ডিং এর পর শিশুদের ককপিট পরিদর্শনের অনুমতি দেন। আপনিও ঘুরে দেখতে পারবেন এই সুযোগে।

সেকেন্ড হেল্পিং
আপনি যে এয়ারলাইনে ভ্রমণ করছেন তারা যদি ফ্লাইটে আপনাকে খাবার সরবরাহ করেন তাহলে আপনি ২য়বারও চাইতে পারবেন। মানে আপনি যদি প্রয়োজন বোধ করেন তাহলে খাবার গ্রহণের পর আবার চাইলে এক্সট্রা একটা স্নাক্স পেতেই পারেন। আপনার এয়ারলাইন্সটি সেটিও বিনামূল্যে সরবরাহ করবে। যদিও এটা আপনার ট্রিপের সময়ের উপর নির্ভর করে অনেকটাই।

বোনাস
ফ্লাইটে চা-কফি তো অফার করবেই। তবে আপনি যদি এগুলো অপছন্দ করে থাকেন তাহলে হতাশ হবেন না। ফ্লাইটে হট চকোলেট, সোডা আর জুসের ব্যবস্থাও থাকে। তবে সেজন্য হয়ত আপনাকে অপশন আছে কিনা সেটা জিজ্ঞেস করতে হবে। তাই জিজ্ঞেস করে নিজের পছন্দের পানীয় নিন। আর অপশন নেই মনে করে যা দিচ্ছে তাই কষ্ট করে গ্রহণ করবেন না।

ঔষধপত্র এবং ব্যান্ডেজ
সব ফ্লাইটেই কিন্তু প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য জরুরি ঔষধ এবং ব্যান্ডেজ সরবরাহ করা হয়। তাই আপনার প্রয়োজনে পেইনকিলার, এন্টাসিড, ছোট-খাট ক্ষততে ব্যবহারের জন্য ব্যন্ডেজ আপনি চেয়ে নিতে পারেন। বিনামূল্যেই এগুলো যাত্রীদের সরবরাহ করা হয়।

ডাক্তার
ফ্লাইটে যদি আপনি হঠাৎ খুব অসুস্থ্ হয়ে যান তাহলে ফ্লাইট এটেন্ডেন্ট আপনার জন্য ডাক্তার খুঁজে দেবেন। অর্থাৎ, তিনি একটি এনাউন্সমেন্ট করবেন যাত্রীদের উদ্দেশ্যে যে, তাদের মধ্যে যদি কোন ডাক্তার থাকেন তাহলে যেন অসুস্থ যাত্রীটিকে সাহায্য করা হয়। অনেক ফ্লাইটে একজন স্পেশালিস্ট রাখা হয় যাত্রীদের প্রয়োজনে সেবা দানের জন্য।

সিট বদলাতে চাইলে
ফ্লাইট এটেন্ডেন্টরা আপনার যে কোন সমস্যায় সহায়তা করার মানসিকতা রাখেন। তাদেরকে সেভাবেই নির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই আপনি যদি আপনার সিটে কম্ফোর্টেবল না হন, বদলাতে চান তাহলে নিঃসংকোচে সেটা জানান। তারা হয়ত আপনাকে অপেক্ষা করতে বলবেন সব প্যাসেঞ্জার বসা পর্যন্ত এবং প্লেন ভাল মত উড়তে শুরু করা অব্দি। কিন্তু সমাধান অবশ্যই পাবেন, বিনামূল্যে!

স্যানিটাইজিং
এরোপ্লেনের ট্রে টেবিল, বিভিন্ন বেসিন অনেক নোংরা থাকে। আপনি যদি এগুলো পরিষ্কার করে নিতে চান তাহলে ফ্লাইট এটেনডেন্টকে বলুন। তিনি আপনাকে প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করবেন।

দরকারি জিনিস
অনেক এয়ারলাইন্স ফ্রি এমেনিটি কিটস দিয়ে থাকে যাত্রীদের। যেমন- আই মাস্ক, ইয়ারপ্লাগস, প্লেয়িং কার্ডস, লেখার জন্য কলম-প্যাড, টুথব্রাশ, টুথপেস্ট এমনকি মোজা। আপনি যে ক্লাসের যাত্রিই হন না কেন ফ্লাইট এটেন্ডেন্ট আপনাকে এগুলো পৌঁছে দেবে।

পানির বোতল
প্লেনে ওঠার সময় আপনার সাথে পানির বোতল থাকলে সেটি খালি করে ফেলতে হয়। কিন্তু খালি বোতলটি ফেলে দেবেন না। যাত্রাকালে যদি আপনি পিপাসার্ত বোধ করেন ফ্লাইট এটেন্ডেন্টকে বললেই তিনি বোতলটি আবার ভরে দেবেন।



মন্তব্য চালু নেই