হেড ক্লার্ক ও কোষাধ্যক্ষ বিল প্রস্তুতকরণে উৎকোচ না পাওয়ায়

বগুড়ার শেরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারীদের হলোনা নতুন পোষাক

বগুড়ার শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহকারি (হেড ক্লার্ক) ও কোষাধ্যক্ষের উৎকোচ না পাওয়ায় বিল প্রস্তুতে কালক্ষেপন করায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ফিরে গেল ৪র্থ শ্রেনীর ১৪ কর্মচারীর অনুকুলে বরাদ্দকৃত প্রায় ১ লাখ টাকার পোষাক ভাতার বিল। একারনে এবার আর নতুন পোষাক হলো না। এতে কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে উপজেলা পর্যায়ের বগুড়ার শেরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৪র্থ শ্রেনীর ১৪জন কর্মচারীর অনুকুলে জনপ্রতি প্রায় ৬ হাজার টাকা করে পোষাকের জন্য অর্থ বরাদ্দ আসে।
জানা গেছে, গত জানুয়ারী মাসে এ ভাতার বরাদ্দকৃত প্রায় ৮৫ হাজার টাকা সংশ্লিষ্ট অফিসে আসলেও শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহকারি ( হেডক্লার্ক) নাছির উদ্দিন ও কোষাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে কাগজপত্র ঠিকঠাক করার কাজে ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারীদের কাছ থেকে উৎকোচ দাবী করে। দাবীকৃত উৎকোচ না দেয়ায় তারা বিল প্রস্তুতে কালক্ষেপন করে আসছে বলে জানায় ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী আব্দুল আজিজসহ কয়েকজন।

এ কর্তাদ্বয়ের গড়িমসির কারনে তথা গত ৩০ জুনের মধ্যে ওই পোষাক ভাতার বিল প্রস্তুত না করায় বিলগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ফিরে গেছে। ফলে ১৪জন ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারীর পোষাক ক্রয় করা থেকে বঞ্চিতসহ নতুন পোষাকে ঈদের আনন্দ বিমুখ হচ্ছে। এ ব্যাপারে কোষাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, অফিস সহকারি নাছির সাহেব ভাতার বিল প্রস্তুত করে না দেয়ায় আমি দিতে পারিনি। এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য প.প. কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান বলেন, এ বিল যখন এসেছে, তখন এ স্টেশনে যোগদান করিনি। তাছাড়া আমার আমলে সকল বিল যেন সঠিক সময়ে পরিশোধ করা হয় তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই