বগুড়ায় নিহত জঙ্গি রিপনের লাশ গ্রহণ করতে চান না স্বজনরা

বগুড়ায় শেরপুরে কথিত বন্দুক যুদ্ধে নিহত ইব্ররাহিম,গোলাম,তারেক ওরফে রিপনের লাশ নিতে চান না স্বজনরা । পুলিশ বলছে নতুন জঙ্গি সংগঠন আনসারের অন্যতম পরিকল্পনাকারী রিপন। রিপনের বাসায় বসেই পরিকল্পনা হয়েছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেজাউর করিম হত্যা মিশনের।

বাবার মৃত্যুর পর মায়ের অন্যত্তর বিয়ে। রিপনের বয়স তখন বছর ছয়েক। এর তিন বছর পর একমাত্র বোনেরও বিয়ে হয়ে যায়। তাই বেড়ে ওঠা রাজশাহীর পাঠান পাড়ায় দাদীর কাছে।

বোন সামিরা ফেরদৌস জানান বছর দশেক আগে উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর আর পড়াশোনা হয়নি রিপনের। নগরীর একটি দোকানে কর্মচারি হিসেবে কাজ শুরু করলে তিন বছর আগে তা ছেড়ে দেয় রিপন। খরচ চলত বাবার রেখে যাওয়া বাসা ভাড়া দিয়ে। একমাত্র বোনের বাসায় আসা-যাওয়া থাকলেও তিন মাস আগে হঠাৎই নিরুদ্দেশ হয়ে যায়।

২৯ আগস্ট কথিত বন্দুক যুদ্ধে জেএমবির উত্তরাঞ্চলের সাময়িক প্রধান খালেদ হাসানের সাথে মারা যায় রিপন। এরপরই ভাইয়ের খোঁজ জানতে পারে সামিরা।

এমন করুন মৃত্যু হলেও উগ্রপন্থি ভাইয়ের লাশ গ্রহণ করতে চাননা বোন।

পুলিশ বলছে কয়েক মাস আগে রাজশাহীতে সক্রিয় হবার চেষ্টায় থাকা জঙ্গি সংগঠন আনসার রাজশাহীর অন্যতম পরিকল্পনাকারীও ছিলো রিপন।

বগুড়া, সহকারী পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান জানান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেজাউর করিমকে খুনের আগে তার বাড়িতে বসেই ছক আঁকে জঙ্গিরা। এরপর তার বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েই খুন করা হয় ঐ অধ্যাপককে।

উল্লেখ্য, সোমবার (২৯ আগস্ট) ভোরে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিশালপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জেএমবির সামরিক কমান্ডার বদর মামা ওরফে খালেদ মামা এবং আনসার রাজশাহীর মাস্টারমাইন্ড আবু ইব্রাহিম ওরফে তারেক ওরফে রিপন নিহত হন। সূত্র: যমুনা টিভি



মন্তব্য চালু নেই