বজ্রপাত এড়াতে যা করবেন

বৈশাখ জৈষ্ঠ মাসে ঝড় বৃষ্টি ও বজ্রপাত বেশি হয়। বজ্রপাতে দেশে প্রচুর মানুষ মারা যায়। অনেক সময় একটু সচেতন হলে এমন দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।

সাধারণত গ্রীষ্মের শুরুতে কাল বৈশাখী ঝড় হয়। এছাড়াও আশ্বিন-কার্তিকে বাংলাদেশে ঝড়-বৃষ্টি হয়। তখন প্রচুর বজ্রপাত হয়।

মেঘে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ চার্জ জমা হলে মাঝখানের বাতাসের বাধা অতিক্রম করে মাটিতে চলে আসে, এটাই বজ্রপাত। এ সময় বিদ্যুৎ চমকায়। মেঘে মেঘে ঘর্ষণেও বিদ্যুৎ চমকাতে পারে। সমগ্র পৃথিবীতে প্রতি সেকেন্ড ৪০-৫০ বার বিদ্যুৎ চমকায়। অর্থাৎ বছরে বিশ্ব পরিসরে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটিবার বিদ্যুৎ চমকায়।

বজ্রাহত হতে না চাইলে যেমস পন্থা অলম্বন করা যেতে পারে: 
১. ঝড় বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হলে প্রথম কাজ হবে খোলা মাঠে না থেকে ঘরের ভেতরে থাকা। কারণ, মেঘের বিদ্যুৎ মাটির কাছাকাছি উঁচু জায়গাতেই আঘাত হানে। খোলা প্রান্তরে দাঁড়িয়ে থাকলে মাথায় বাজ পড়ার আশঙ্কা বেশি। কোনো গাছের নিচে আশ্রয় নেওয়া বোকামি, কারণ বাজ তো সেই গাছেই পড়তে পারে, তাহলে গাছের সঙ্গে আমিও পুড়ে ছাই হয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে।

২. ঝড়–বৃষ্টির সময় খোলা প্রান্তরের মাঝ দিয়ে চলে যাওয়া কোনো রাস্তায় বাস বা গাড়িতে থাকলে, নেমে কাছের কোনো বাসায় আশ্রয় নিলে ভয় থাকে না।

৩. নদীতে নৌকায় থাকলে বাজ পড়ে মারা যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই নৌকা পাড়ে ভিড়িয়ে কাছের ঘরবাড়িতে আশ্রয় নেওয়া উচিত।

৪. গ্রামে বাড়ির চারপাশে নারকেলগাছ লাগানো দরকার। বাজ পড়লে ওই গাছেই পড়বে। ঘর বাঁচবে।

৫. শহরে উঁচু দালানে বাজ নিরোধক আর্থিং–ব্যবস্থা অবশ্যই রাখতে হবে। বাড়ির ছাদে উঁচু করে রাখা চোখা ধাতবদণ্ড থাকে। ওই শলাকার সঙ্গে যুক্ত তামার তার দেয়ালের ভেতরে লুকোনো পাইপের মধ্য দিয়ে মাটির অন্তত ১০-১২ ফুট গভীরে বিশেষ ব্যবস্থায় স্থাপন করা হয়। মাটিতে বিদ্যুৎ ভোল্টশূন্য। তাই আকাশে মেঘের উঁচু বিদ্যুৎ চার্জ দ্রুত ছাদের চোখা ধাতবদণ্ডের সঙ্গে মিলিত হয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। ভবনের কোনো ক্ষতি হয় না।

এছাড়াও বজ্রপাতের দিনগুলোতে কাঠের হাতলওয়ালা ছাতা ব্যবহার করা উত্তম।



মন্তব্য চালু নেই