বন্ধুদের ছাড়া যেতে চাননি, তাই প্রাণ গেল ফারাজের

রাজধানীর গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলায় নিহত ফারাজ আইয়াজ হোসেন (২০) বেঁচে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর দুই বন্ধুকে জঙ্গিরা না ছাড়ায় তিনি এ সুযোগ নেননি।

ফারাজের দুই বন্ধু হলেন অবিন্তা কবির ও তারিশি জৈন। ফারাজের আত্মীয় হিশাম হোসেনের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, জঙ্গিরা জিম্মিদের জাতীয়তা বিষয়ে প্রশ্ন করলে ফারাজ নিজেকে বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দেন এবং অবিন্তা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও তারিশি ভারতের নাগরিক বলে জানান। এ সময় ফারাজকে চলে যেতে বলে জঙ্গিরা। কিন্তু তিনি তাঁর দুই বন্ধুকে ছাড়া যেতে চাননি। ফলে রেস্তোরাঁ থেকে জীবিত ফেরা হয়নি তাঁর। অন্যদের সঙ্গে তাকে হত্যা করে জঙ্গিরা। জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া কয়েকজনের কাছ থেকে তথ্যগুলো জানতে পারেন হিশাম হোসেন।

ফারাজ ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী লতিফুর রহমানের দৌহিত্র এবং সিমিন হোসেন ও ওয়াকার হোসেনের সন্তান। ফারাজ তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে শুক্রবার আর্টিজান রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি গ্রীষ্মের ছুটিতে গত ১৮ মে দেশে আসেন। আগামী ২২ আগস্ট তাঁর আবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। ১৯৯৬ সালের ১৫ এপ্রিল ফারাজের জন্ম। তিনি রাজধানীর স্যার জন উইলসন ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র ছিলেন।

আর অবিন্তা কবিরও ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ঢাকায় পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে এসেছিলেন। ঢাকায় অবিন্তা আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। অবিন্তা থাকতেন ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মায়ামিতে।

ভারতীয় নাগরিক তারিশি বার্কেলেতে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার শিক্ষার্থী ছিলেন। ঢাকায় ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডে ইন্টার্নশিপ শুরু করেছিলেন। ঢাকায় তিনি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পড়েছেন। তাঁর বাবা এখানে পোশাক ব্যবসা করতেন।



মন্তব্য চালু নেই