বন্ধ হচ্ছে ২০৪ ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি) দেশের ২০৪ টি ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের (আইএসপি) সংযোগ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ২৫ আগস্টের মধ্যে এসব আইএসপি প্রতিষ্ঠানের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সব ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) ও আইএসপিদের নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দিয়েছে বিটিআরসি।

বিটিআরসি থেকে মঙ্গলবার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ২৫ আগস্ট রাত ১২টা থেকে এসব আইএসপিদের ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ বন্ধ করে দিতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নবায়নের আবেদন অনুমোদন করা হবে না এবং এদের বিরুদ্ধে ২০০১ সালের টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে নেশনওয়াইড, সেন্ট্রাল জোন, আঞ্চলিক ও বিভিন্ন মহানগরী এলাকায় এ, বি ও সি এই তিন ক্যাটাগরিতে ৫০০’র বেশি লাইসেন্সপ্রাপ্ত আইএসপি রয়েছে।

বন্ধের তালিকায় থাকা আইএসপি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৩টি নেশনওয়াইড, ২৩টি সেন্ট্রাল জোন, ১৩টি আঞ্চলিক, ৭০টি ঢাকা মহানগরী এলাকায় (‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত), ২৬টি চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট মহানগরী এলাকার (‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত) এবং ৩৯টি অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন এলাকায় (‘সি’ ক্যাটাগরিভুক্ত) আইএসপি রয়েছে।

internet1

আইএসপি বন্ধের কারণ সম্পর্কে বিটিআরসি সচিব সারওয়ার আলম সাংবাদিকদের জানান, লাইসেন্স নেওয়ার পর এই আইএসপিগুলো নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী কোনো তথ্য দেয়নি। পাওনাও দেয়নি। এরা কার কাছ থেকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ নিচ্ছে বা কত সংখ্যক গ্রাহককে সেবা দিচ্ছে এ তথ্য কখনও দেয়নি।

তিনি বলেন, এসব তথ্য চেয়ে কয়েক দফা চিঠি দেওয়া হলেও আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো তার কোনো উত্তর দেয়নি। যার ফলে কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ বিষয়ে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসপিএবি) সেক্রেটারি এমদাদুল হক সাংবাদিকদের জানান জানান, বন্ধের তালিকায় থাকা আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশিরভাগ বন্ধ। বিটিআরসি এদেরকে ছয় মাস ধরে চিঠি পাঠাচ্ছে, কিন্তু তারা কোনো উত্তর দেয়নি। এইসব আইএসপি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে এই ব্যবসায় কোনো প্রভাব পড়বে না।



মন্তব্য চালু নেই