বরিশালের কাছে হেরে বিপদে রাজশাহী

বরিশাল বুলসের বিপক্ষে ম্যাচটা রাজশাহী কিংসের জন্য ছিল মহা গুরুত্বপূর্ণ। সেই ম্যাচ ১৭ রানে হেরে গিয়ে বিপদে পড়ে গেল তারা। টানা ৬ হারের পর বিপিএলে জয়ে ফিরল মুশফিকুর রহীমের বরিশাল। কিন্তু তাদের শেষ চারে থেকে প্লে অফে খেলার সম্ভাবনা প্রায় শূণ্যের কোঠায়। তবে তাদের কাছে হেরে রাজশাহীর প্লে অফে খেলার সম্ভাবনা এখন শঙ্কায় রূপ নিল। ১১ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১০ থাকলো। রংপুর রাইডার্সের ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট। দুই ম্যাচ বাকি। চতুর্থ স্থানের জন্য রংপুরের সাথে লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়ল রাজশাহী।

বিপিএলে বৃহস্পতিবার একটি ম্যাচই ছিল। টুর্নামেন্টের হিসেব করলে খুব বড় ম্যাচ না। কিন্তু মুশফিকুর রহীমের বরিশালের জয়ে ফেরার মরীয়া লড়াই ছিল। সেই লড়াইয়ে টসে হেরে আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৬১ রান তুলল তারা। এরপর ম্যাচের মাঝেই কিছুটা ছিটকে পড়ে রাজশাহী। পরে আর ফিরে আসতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত ড্যারেন স্যামির দলকে ৭ উইকেটে ১৪৪ রানে থামতে হয়েছে।

শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ১৬২ রানের লক্ষ্যে নেমে প্রথম ১৪ বলে ২৭ রান তোলে রাজশাহী। কিন্তু তারপর থেকে উইকেট হারাতে শুরু করে তারা। ১০ ওভারে ৩ উইকেটে ৬৪ রান তাদের। সামিট প্যাটেল হাল ধরেন। জেমস ফ্রাঙ্কলিনকে (১৮) নিয়ে ৪৪ রানের জুটি গড়েন পঞ্চম উইকেটে।

৫ উইকেট হারানো রাজশাহীর শেষে ১২ বলে আর ৩৩ লাগে। স্যামি কেবলই সামিটের সাথে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু ১৯তম ওভারে জোড়া আঘাত হেনে আরেক ক্যারিবিয়ান রায়াদ এমরিট ছিটকে ফেলেন রাজশাহীকে। চার বলের মধ্যে তিনি তুলে নেন সামিট ও ফরহাদ রেজাকে (৪)। সামিট ম্যাচ সর্বোচ্চ ৬২ রান করেছেন ৫১ বলে। কিন্তু ৪ ওভারে ২৭ রানে মূল্যবান ৩ উইকেট নিয়ে এমরিট ম্যান অব দ্য ম্যাচ। শেষ ওভারে ২৮ রান করা হয়নি রাজশাহীর। স্যামি অপরাজিত থেকেছেন ১১ রানে। মুমিনুল হক (১৬), নুরুল হাসান (১২), সাব্বির রহমানরা (৮) ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়ে বরিশালের বোলারদের কাছে হার মেনেছেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন রাব্বি, এনামুল, মনির ও পেরেরা।

আগের দেখায় রাজশাহীর সাব্বিরের বিপিএল সর্বোচ্চ ১২২ রানের ইনিংসের পরও জিতেছিল বরিশাল। এবারও জিতল। এই জয়ে ১১ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট হলো। অলৌকিক কিছু না হলে প্লে অফে খেলার সুযোগ নেই তাদের।

এই ম্যাচ ওপেনার ডেভিড মালান খেলেছেন ৩৩ বলে ৩ ছক্কা ও ৬ চারে ৫৬ রানের দারুণ ইনিংস। ফজলে মাহমুদের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৩ বলে ৪৩ রানের ইনিংস। যেখানে চার ৪টি, ছক্কা ২টি। অধিনায়ক মুশফিক করেছেন ৮। থিসারা পেরেরা ২২ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত। আর নাফীস ৬ বলে ২ ছক্কায় হার না মানা ১৬ করেছেন।

শুরুতেই উইকেট পেয়েছিল রাজশাহী। দ্বিতীয় ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজ তুলে নেন জিভান মেন্ডিসকে। কিন্তু এরপর প্রতিরোধের দেয়াল তুলে চমৎকার এগিয়েছেন মালান ও মাহমুদ। ঠিক ১০০ রানের জুটি গড়েছেন তারা। ওভার প্রতি রান তুলেছেন ৮.৪৫।

১২ ওভার এক সাথে লড়ে একই ওভারে ফিরেছেন মালান ও মাহমুদ। এরপর ৩৬ রানের জুটি পেরেরা ও মুশফিকের। নাফীস নেমেছেন ১৯তম ওভারে, মুশফিক আউট হলে। কম বলে বেশি রান করার লক্ষ্য পূরণ করে গেছেন। পেরেরাও ভালো খেললেন। তাতে চ্যালেঞ্জ করার মতো পুঁজি গড়েই বল হাতে নিয়েছিল বরিশাল। শেষ হাসিটা তাদেরই।



মন্তব্য চালু নেই