ঘুর্নিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে

বরিশালে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত ॥ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

কল্যাণ কুমার চন্দ, বরিশাল : ঘুর্নিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে গত তিনদিনে অব্যাহত বর্ষণে বরিশালের বিভিন্ন উপজেলার অধিকাংশ নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। প্রবল বর্ষণে মাঠের ফসল, পানবরজ, বীজতলা, সবজি ক্ষেত, পুকুর ও ঘেরের মাছ, গাছপালা, কাঁচা পাকা সড়ক এবং ঘরবাড়িসহ বৈদ্যুতিক লাইনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

জেলা প্রশাসক ড. গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান জানান, ঘুর্নিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে ও দুর্যোগকালীন সময়ে জনগনকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে স্থানান্তরের জন্য প্রতিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নিয়ে সভা করে ঘুর্নিঝড় নিয়ন্ত্রন কক্ষ চালু করা হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত বৃষ্টিতে জমির আউশের বীজতলা সম্পূর্ন বিনষ্টসহ ঝড়ো বাতাসে জমির পানবরজ মাটির সাথে মিশে গেছে। নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় সবজি ক্ষেত ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অতিবর্ষনে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার অধিকাংশ পুকুর ও ঘের তলিয়ে গেছে।

পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২ সূত্রে জানা গেছে, ঝড়ো বাতাসে গাছের ডালপালা ভেঙ্গে বিদ্যুতের লাইনের ওপর পড়ায় শুক্রবার রাত থেকে জেলার অধিকাংশ উপজেলার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। জেলা নিয়ন্ত্রন কক্ষের তথ্য অনুযায়ি বিভিন্নস্থানে ছোটবড় গাছপালা উপড়ে, মাছের ঘের তলিয়ে যাওয়াসহ কাঁচা-পাকা সড়ক ও বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে সার্র্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমান তাৎক্ষনিক নিরুপন করা সম্ভব হয়নি।

নদী বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বরিশাল নদী বন্দরের জন্য শুক্রবার বিকেলে ২ নম্বর সকর্ত সংকেত থাকলেও ঢাকাগামী সকল লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। শনিবারও অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় মাছ ধরা সকল ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। এদিকে দমকা বাতাস ও ঝড়ো হওয়া অব্যাহত থাকায় বরিশালের জনজীবনে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। শ্রমজীবী মানুষ কাজে নামতে পারেননি। পাশাপাশি মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। নগরী হয়ে পড়েছে জনশুন্য। বৃষ্টিতে নগরীর অধিকাংশ সড়কে পানি জমে গেছে।



মন্তব্য চালু নেই